সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নেবুবুনিয়া এলাকার উপকূল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ওই ইউনিয়নের দু’টি গ্রাম ফের প্লাবিত হয়েছে। খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ওই বাঁধ ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। ভাঙ্গন পয়েন্ট দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢোকা অব্যাহত থাকায় রাতের জোয়ারে গাবুরার আরো নুতন নুতন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আংশকা রয়েছে।
ঘুর্নিঝড় আম্পানের আঘাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গাবুরা ইউনিয়নের প্রায় সব কয়টি গ্রাম কম বেশী প্লাবিত হয়ে পড়ে। নেবুবুনিয়া এলাকার ভাঙ্গন পয়েন্টে বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণ করে কোন রকমে নদীর লোনা পানি ঢোকা বন্ধ করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরের জোয়ারে ওই বিকল্প রিং বাঁধ ভেঙ্গে পাশ্ববর্তী এলাকার তিনশ একর জমির চিংড়ি ঘের ও দেড় শতাধিক বসতঘর নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আম্পান তান্ডবের পর ফের বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের মুখে পড়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় গ্রমবাসী আজিজুল ইসলাম ও আকবর আলী জানান, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির সাথে গত দু’দিন ধরে হঠাৎ করে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়েছে। এদিকে নদীতে হঠাৎ পানির চাপ বেড়ে যাওয়ার কারনে আকস্মিকভাবে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর নেবুবুনিয়া এলাকার ছয়টি পয়েন্টে বাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। মুহুর্তের মধ্যে নেবুবুনিয়া ও গাবুরা গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে দাবি করে রাতের জোয়ারে গোটা গাবুরা ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে তারা।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করেই নেবুবুনিয়া এলাকার বাঁধের ছয়টি স্থানের বাঁধ ভেঙ্গে দুটি গ্রামের তিনশ একরের মত চিংড়ি ঘের ও দুই শত বসত বাড়ি পানিতে ভেসে গেছে।
বিষয়টি পাউবো কৃতপক্ষকে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাতের জোয়ারে গোটা গাবুরা প্লাবিত হওয়ার শংকা তৈরী হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের শ্যামনগর এলাকার সেকশন অফিসার(এসও) মাসুদ রানা জানান, নদীতে জোয়ারের চাপ বৃদ্ধির সাথে সাথে ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে দুপুরে নেবুবুনিয়া এলাকার বাঁধ ভেঙ্গে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
ভাঙ্গনের খবরের পর ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভেঙ্গে যাওয়া অংশের রিং বাঁধে সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছিল। ভাঙ্গন কবলিত অংশে পৌছে পানি আটকানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম