খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে

বাঁধ কেটে লোনা পানি প্রবেশের বিরুদ্ধে মোড়েলগঞ্জে কৃষকদের বিক্ষোভ

মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে তেলিগাতি গ্রামে ‘বাঁধ কাটা হবে না’ ‘লবণ পানি চাইনা’। এ শ্লোগানে শত শত নারী পুরুষ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে তেলিগাতি ইউনিয়নে বাঁধ কাটা বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে নারী পুরুষ ভূক্তভোগী গ্রামবাসীরা। বাঁধকাটা ক্ষতির আশংকায় ২ শতাধিক কৃষক-কৃষাণীরা গণ স্বাক্ষরে জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে আবেদন করেছেন।

তেলিগাতি গ্রামে এ মানববন্ধনে ৫ শতাধিক ভূক্তভোগী নারী পুরুষেরা অংশ গ্রহন করেন।

এলাকাবাসী জানান, ইউনিয়নের হরগাতি হয়ে মালমগাছা ইছামতী নদীর সংযোগে ৮কিলোমিটার খালের বাঁধ দিয়ে লবণ পানি প্রবেশ বন্ধ করে রেখে একাধিক ফসল উৎপাদন করেছে সাধারণ কৃষকেরা। সে খালের বাঁধ কেটে দেওয়ার জন্য এলাকার গুটিকয়েকব্যক্তি উঠে পড়ে লেগেছে। অথচ এ খালের বাঁধ কেটে দিলে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি ও শীত মৌসুমে লবণ পানি প্রবেশ করে তেলিগাতি পঞ্চকরনসহ পার্শ্ববতী কচুয়া উপজেলার ৮/১০টি গ্রামের ১০/১২ হাজার কৃষকের ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে সাধারণ কৃষকদের।

লবণ পানি ঢুকে চলতি আমন মৌসুম বীজ তলায়সহ একাধিক ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবার আশংকায় রয়েছ কৃষক। ৩ কিলোমিটার ইট সোলিং রাস্তা ভেঙ্গে গিয়ে চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শত শত পরিবার হয়ে পড়বে পানিবন্ধী।

কৃষক জাফর আলী, শিখা বেগম, শহিদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ইমরান খান, রিতা বেগম, মুক্তা বেগম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদসহ মানববন্ধনে একাধিকরা বলেন, এলাকার স্বার্থে ‘বাঁধ কাটা হবে না’ ‘লবন পানি চাইনা’। তারা উর্দ্ধতন প্রশাসনের প্রতি বাঁধকাটা বন্ধের জোর দাবী জানিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী বলেন, খোঁজ নিয়েছি তেলিগাতি গ্রামের বাঁধটি কেটে দেওয়া হলে চলতি আমন মৌসুমে কৃষকের ২ হেক্টর ফসলী জমির প্লাবিত হয়ে বীজতলা ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোর্শেদা আক্তার বলেন, এলাকার স্বার্থে তেলিগাতি খালের বাঁধ কাটা বন্ধ না হলে কৃষকের দুর্ভোগ পোহাতে হবে। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে শত শত পরিবার। জেলা প্রশাসক মহোদয় ও নির্বাহী কর্মকর্তার বিষয়টি তদন্ত করে কৃষকের স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে তিনি মনে করেন।

খুলনা গেজেট / আ হ আ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!