খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৮৭
  ঢাবির হলে পিটিয়ে যুবককে হত্যা: ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৩, তদন্ত কমিটি গঠন
  বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার নিয়োগ দিতে পূর্ণাঙ্গ রায়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

বশেমুরবিপ্রবি’র প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

রাজু আহমেদ, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) প্রকল্প পরিচালক আশিকুজ্জামান ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সত্যতা মিলেছে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ধর্ম বিষয়ক অডিট অধিদপ্তরের প্রতিবেদনেও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই আশিকুজ্জামান ভুঁইয়াকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়ার পরই এই প্রকল্পে ঘটে একের পর এক অনিয়ম। আর এ সকল অনিয়মের বিষয় উঠে এসেছে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ধর্ম বিষয়ক অডিট অধিদপ্তরের প্রতিবেদনেও।

শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ধর্ম বিষয়ক অডিট অধিদপ্তরের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আশিকুজ্জামান ভুঁইয়া প্রকল্প পরিচালক থাকা অবস্থায় তিনি বিধিবহির্ভূতভাবে চাহিদা না থাকা সত্বেও খুলনা শিপইয়ার্ডকে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি এবং আসবাবপত্র বাবদ সর্বমোট ২৮ কোটি ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৯৯ টাকা অগ্রীম প্রদান করেন। এ সকল পণ্যের একটি বড় অংশের চাহিদা না থাকায় বর্তমানে অব্যবহৃত থেকে নষ্ট হচ্ছে।

এ ছাড়া, প্রকল্প পরিচালক থাকা অবস্থায় আশিকুজ্জামান ভুঁইয়া প্রকল্পের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে নিজ অ্যাকাউন্টে প্রায় দেড় কোটি টাকা ট্রান্সফার করে। তবে কয়েক মাস পর সেই টাকা আবার প্রকল্পের অ্যাকাউন্টে ফেরতও দেন তিনি।

অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে আশিকুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, “একাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফারের বিষয়টি ভুলবশত হয়েছে। ”

প্রকল্প পরিচালকের অনিয়ম সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুদক অবগত থাকা সত্বেও স্বপদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি উপ-পরিচালক (হিসাব) শেখ সুজাউদ্দিন বলেন, “এতে আমাদের কোনো পরামর্শও নেওয়া হয়নি। আমাদের কাছে কোনো ফাইলও আসেনি। পরিকল্পনা, প্লানিং ও ওয়ার্কস অফিস তাদের নিজ দায়িত্বে খুলেছে।”

টাকা ট্রান্সফারের বিষয়ে উপ-পরিচালক (প্লানিং) তুহিন মাহমুদ বলেন, “সহকারী পরিচালক আমার রুমে এসে বলেছিলেন একটি একাউন্ট খোলা লাগবে। তাই যৌথ একাউন্টে সিগনেচার দেওয়ার কথা। আমি যেহেতু পিডি তাই এই কথায় সিগনেচার দিয়ে দিয়েছি।”

অনিয়মের বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক এ কিউ এম মাহবুব বলেন, “অনিয়মের এই বিষয়টি ইউজিসি, দুদক ও সরকার সবাই জানে সুতরাং আমার বিশেষ কিছু করার নেই। বিষয়টা উপর মহল অবগত না থাকলে আমি তাদের অবগত করতাম।”

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!