গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের অংশগ্রহণে সভা-০২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্বিদ্যালয়ের এপিএ সেলের আয়োজনে আজ (১১ ডিসেম্বর ২০২৩) সোমবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এস এম এস্কান্দার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম, ট্রেজারার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোবারক হোসেন।সভায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সাংবাদিক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা ও করণীয় বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কখনো একদিনে প্রতিষ্ঠিত হয় না। একটু একটু সত্যিকারের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠে। সেজন্য চাই শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই স্বচ্ছতার সাথে কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে তারা নিজ নিজ কর্মস্থানে অবদান রাখতে সক্ষম হয়। মানুষের চাহিদা, পরিবর্তনশীল টেকনোলজি তথা বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে চলতে পারে। আমরা কোয়ালিটি সম্পন্ন শিক্ষার্থী গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন কমিয়েছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর রেশিও সমন্বয়ের চেষ্টা করছি। আমাদের মনে রাখতে হবে, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী স্মার্ট হলে শিক্ষার্থীরা যেমন স্মার্ট, তেমনই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জন হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম বলেন, আমরা সকলে মিলে ভালো চিন্তা করলে, রাষ্ট্রের যে কাঠামো হবে তাই সুশাসন। আমাদের নিজ নিজ মত পথ আলাদা হতে পারে, তবে বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালো রাখতে আমরা এক সাথে কাজ করবো। একই সঙ্গে এও মেনে চলতে হবে যে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সুশাসনের কোনো বিকল্প নেই। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে নিজ নিজ কাজের প্রতি স্বচ্ছ থাকার আহবান জানান ট্রেজারার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোবারক হোসেন।
খুলনা গেজেট/ এএজে