নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেলেন বশেমুরবিপ্রবির সাবেক তিন শিক্ষার্থী। গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকট দেখা দেয়। ফলে শিক্ষক নিয়োগের দাবি ছিলো শিক্ষার্থীদের, জড়াতে হয়েছে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনেও। সম্প্রতি বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষক সংকট নিয়ে গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হতে থাকে সংবাদ। এরই মধ্যে প্রায় দেড় ডজন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে বশেমুরবিপ্রবিতে।
এদিকে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বশেমুরবিপ্রবিরই সাবেক দুই শিক্ষার্থী। এছাড়া কর্মকর্তা হিসেবেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থীকে।
শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. ফেরদৌস ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ফাতেমা খুকুমণি। এছাড়া সহকারী প্রোগ্রামার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল ইসলাম।
দীর্ঘদিন ধরেই নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থেকে শিক্ষক কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এরই প্রেক্ষিতে এর আগে গত বছরের জুনে প্রথমবারের মতো বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী তন্বী সাহা ও ইংরেজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মঈনুল ইসলাম শাওনকে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। একই সাথে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান এপ্লাইড কেমেস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আব্দুল কাদের শাকিল।
এরপর সম্প্রতি রিজেন্ট বোর্ডেও অনুমোদন দেয়া হয় ১৬ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি। আর এই নিয়োগে বশেমুরবিপ্রবির ৩ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থী শিক্ষক- কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পেলেন। বুধবার রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজেদের শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ রাসেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ আমাদের কাছে দ্বিতীয় পরিবার। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি চলমান থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত এগিয়ে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা সব জায়গায় ভালো করছে। সম্মানজনক স্কলারশিপ পাচ্ছে, গবেষণা করছে,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গুরু দায়িত্ব পালন করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতেও তারাও কাজ করে যাবে। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে তারা শিক্ষক হয়েছেন,কর্মকর্তা হয়েছেন। তাদের এখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি দায়িত্ব আরো অনেক বেড়ে গেলো।