প্রিয় বর্ষা, তোমার আসার আভাস পেলাম
তাইতো তোমারে আমার দ্বারে নিমন্ত্রণ দিলাম!
এতদিন গ্রীষ্মের তাপে অস্থির ছিলাম
তোমার আসার অপেক্ষায় আস্বস্ত হলাম।
দুই মাস ধরে আমাদের বাড়িতে —-
গ্রীষ্মরানী বেড়িয়ে গেল ভালো
যতটুকু পারলো সে ঘুরলো ফিরলো!
দারুণ ভাবে গরম ঝাঁজে দাপিয়ে গেল।
আম জাম জামরুল কাঁঠাল পাকালো
গরমে আমার গায়ের ঘাম ঝরালো
দিন-রাত দশ দশবার স্নান করালো!
দিন দুপুরে খাঁ খাঁ রোদে চোখ যে ধাঁধালো।
মাঠ ঘাট চৌচির করে জল শুকালো
গরমের তাপে কতো রকম রোগ বাঁধালো
অনেক রকম কৃর্তি করে হায়!
গ্রীষ্মরানী তবে হলো বিদায়।
আমি তারে কভুও পছন্দ করি না
তবু সে আসলো দ্বারে,বসলো ঘরে
কি বলবো তার গুণকীর্তন!
গরমের ঝাঁজে করলো মহা জ্বালাতন।
তোমারে যেচে আমার দ্বারে করছি নিমন্ত্রণ!
আজ পহেলা আষাঢ়, হইও না অষাঢ়
জমাট মেঘ গলে হও বৃষ্টি জল!
আমার ঘরে তুমি এসো বর্ষা
পৃর্থ্বী করো গো শীতল।
আমরা মানব আছি মহা তাপে
হয়তো পড়েছি ঘোর পাপে!
তুমি এসে সারাদিন ঝরঝর ঝরে
হৃদয়টা রে করো নির্মল!
এসো আমার দ্বারে বর্ষা
বসো গো আমার ঘরে
আকুলভাবে আমন্ত্রণ জানাই তোমার তরে।
খুলনা গেজেট/এনএম