পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রশাসন ভবন চত্বরে ঢাক ঢোল পিটিয়ে দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। এসময় উপস্থিত থাকবেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান।
পরে প্রশাসন ভবন চত্বর হতে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হবে। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে অনুষদ ভবনের সামনে বটতলায় গিয়ে শেষ হবে।
মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করে শোভাযাত্রায় সকল অনুষদ, বিভাগ, হল, বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ, ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে অংশ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গল শোভাযাত্রায় গ্রাম-বাংলার প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে আঁকছেন নানা রকম ছবি। নানা রং দিয়ে বিচিত্র সাজের নানা ধরণের মুখোশও তৈরি করছেন তারা। লোকজ সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে গ্রাম বাংলার পরিচিত মাছ ধরার পলুই, শান্তির প্রতীক কবুতর, কুলা, চালুনি, কলস ও প্যাঁচার ছোট-বড় নানা রঙের বিভিন্ন মুখোশ তৈরিতে ব্যস্ত তারা। এছাড়া ২০ ফিট উচ্চতার বিশাল পাখিসহ কাগজের হরেক রকমের ফুলও তৈরি করতে দেখা যায় তাদের।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এইচ এম আক্তারুল ইসলামের পরিচালনায় বর্ষবরণের প্রস্তুতি গ্রহন করা হচ্ছে। সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন চারুকলা বিভাগের পাঁচ জন প্রভাষক। তারা হলেন রায়হান উদ্দিন ফকির, ইমতিয়াজ ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, অনিন্দিতা হাবিব এবং তানিয়া আফরোজ।
চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ বলেন, এবারের শোভাযাত্রায় মাছের পলুই, বাঁশ-বেত দিয়ে বড় পাখি, কুলা, চালুনি, মুখশ ইত্যাদি বিষয়গুলো রেখেছি। আমাদের শিক্ষকরা সার্বক্ষণিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করছি।
খুলনা গেজেট/ এসজেড