নাগরিকদের আপত্তি উপেক্ষা করে সাতক্ষীরা পৌরসভার একতরফা পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জেলা ১২ জুলাই সাতক্ষীরা পৌরসভা ঘেরাও এর কর্মসূচি । রোববার (২৫জুন) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা পৌরসভার সামনে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপি গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মোস্তফা নুরুল আলম, জেলা জাসদের সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিশ আলী, উদীচীর জেলা সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সুরেশ পান্ডে, সিপিবির সভাপতি আবুল হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক মুনসুর রহমান, নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আদিত্য মল্লিক, নারী নেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, প্রতীমা দাস, জেলা ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, ভূমিহীন নেতা আব্দুস সাত্তার, জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানি পরিচালনা করেন যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবলু।
এ সময় বক্তারা বলেন, গণশুণানীর মাধ্যমে নাগরিকদের সাথে আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে বিল বৃদ্ধির প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়ার পর তা কার্যকরের বিধান রয়েছে। কিন্তু সাতক্ষীরা পৌরসভা মন্ত্রণালয়ের কোন অনুমোদন না নিয়েই আকর্ষিকভাবে চারগুন বেশি পানির মূল্য নির্ধারণ করেছে।
বক্তারা আরও বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার পানির গ্রাহকের অনেকেই বছরের পর বছর পানি পায় না। অর্ধেকের বেশি গ্রাহক অনিয়মিতভাবে পানি পেলেও তা ব্যবহার অযোগ্য। পানি সরবরাহ শাখার নিয়মিত ও মাস্টাররোলের কর্মচারীর অধিকাংশই শুধু বসে বসে বেতনই নেন না বরং অনেকে পানির তালিকা বর্হিভূত ভূয়া গ্রাহকদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায়ে ব্যস্ত থাকেন।
নাগরিক নেতৃবৃন্দ বলেন, মিটার না থাকায় সাতক্ষীরা পৌর এলাকার ১০ ইউনিটের একটি ৫তলা ভবনের এক ইঞ্চি পানির লাইনের মাসিক বিল এবং দুই রুম বিশিষ্ঠ একটি টিনসেড বাড়ির পানির বিল একই হারে নির্ধারিত হয়ে আসছে। বড় ভবনের মালিকরা মেশিন লাগিয়ে পৌরসভার পাইপ লাইন থেকে সরাসরি পানি টেনে নেওয়ায় যাদের মেশিন নেই তারা পৌরসভার সরবরাহকৃত পানি থেকে বঞ্চিত হয়। পৌরসভার পাইপ লাইন থেকে অবৈধভাবে পানি নেয়া এসব ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে পৌর কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।
বক্তারা এসব সমস্যার সমাধান করে সুপেয় ও ব্যবহারযোগ্য পানির নিয়মিত সরবরাহ নিশ্চিত করে পুনরায় গণশুনানীর মাধ্যমে বিল বৃদ্ধির বিষয়টি উপস্থাপন করার আহবান জানান।
গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে বর্ধিত পানির বিল পরিশোধ না করার ঘোষণা দেওয়া হয় এবং আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বর্ধিত বিল প্রত্যাহার করা না হলে ১২ জুলাই সাতক্ষীরা পৌরসভা ঘেরাও এর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
গণঅবস্থান কর্মসূচিতে উদীচী শিল্পগোষ্টির শিল্পীরা প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড