বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। হাই ভোল্টেজ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে কুমিল্লা জড়ো করেছে ১৫১ রান।
মিরপুরে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা। এদিনও ওপেনিংয়ে পাঠানো হয় সুনীল নারাইন ও লিটন দাসকে। আগের ম্যাচে বিপিএলের দ্রুততম অর্ধশতক হাঁকানো নারাইন যথারীতি শুরু থেকেই চড়াও হয়ে খেলছিলেন।
মুজিব উর রহমানের করা প্রথম ওভারেই তিনি নেন ১৭ রান। ২১ বলে পূর্ণ করেন অর্ধশতক। ৫ম ওভার শুরু করেন মেহেদী হাসান রানাকে ছক্কা হাঁকিয়ে। তবে ঐ ওভারেই নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় নারাইনকে।
বিদায়ের আগে ২৩ বলের মোকাবেলায় করেন ৫৭ রান, হাঁকান পাঁচটি করে চার-ছক্কা। নারাইনের আগেই বরিশাল শিকার করে লিটনকে। তবে মূল বিপর্যয় শুরু হয় নারাইনের বিদায়ের পর।
বরিশালের বোলাররা দ্রুতই কুমিল্লার রানের লাগাম টেনে ধরেন। খেই হারিয়ে ফেলা কুমিল্লা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। ৯৫ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। বরিশালের বোলাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করায় কুমিল্লা প্রত্যাশা অনুযায়ী রান তুলতে পারেনি। ৬ ওভার শেষে যে কুমিল্লার রান ছিল ৭৩, ১৮ ওভার শেষে তাদের রানই ছিল মাত্র ১৭১।
সপ্তম উইকেটে মঈন আলী ও মেহেদী হাসান রানা গড়েন ৫৪ রানের পার্টনারশিপ, ৫২ বলের মোকাবেলায়। শেষ ওভারে দুজনই ফেরেন সাজঘরে। রানআউট হওয়ার আগে ৩২ বলে ৩৮ রান করেন মঈন, হাঁকান দুটি চার ও একটি ছক্কা। ২৭ বলে ১৯ রান করে শফিকুলের শিকার হন রনি। পরের বলে শফিকুল শিকার করেন শহিদুল ইসলামকেও। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় – রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৫১/৯ (২০ ওভার)
নারাইন ৫৭, মঈন ৩৮, রনি ১৯, ইমরুল ১২
মুজিব ২৭/২, শফিকুল ৩১/২, ব্রাভো ২৬/১, সাকিব ৩০/১
জয়ের জন্য ফরচুন বরিশালের প্রয়োজন ১৫২ রান।
খুলনা গেজেট/এএ