খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

ববির শেরে বাংলা হলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ শিক্ষার্থীরা

ববি প্রতিনিধি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়-দক্ষিণবঙ্গের শিক্ষার বাতিঘর নামে পরিচিত এবং বাংলাদেশের ৩৩তম সরকারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়টির সূচনা লগ্ন থেকে যাত্রা করা হল গুলোর মধ্যে অন্যতম শেরে বাংলা হল। পহেলা ডিসেম্বর তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম ইমামুল হক হলটির উদ্বোধন করেন। হলটিতে বর্তমানে পাঁচশত আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছেন। যাত্রা শুরুর পর থেকে হলটির শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের দ্যুতি ছড়িয়ে ও শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে দেশজুড়ে পরিচিত লাভ করে চলেছে৷

সম্প্রতি হলটি তার সৌন্দর্য বর্ধন কাজের জন্য আবারো আলোচনায় আসে। গতবছরের ১৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য (রু.দা) ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া এই সৌন্দর্য বর্ধন কাজের উদ্বোধন করেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, হলের সম্মুখে ফুলের বাগান নির্মাণ, সেগুলোর বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ ও টাইলস স্থাপন, শিক্ষার্থীদের জন্য মনোরম বসার ও আড্ডা দেয়ার জন্য বেঞ্চ কর্ণার নির্মাণ ও মনোরম আলোকসজ্জা এই সৌন্দর্য বর্ধন কাজের মধ্যে অন্যতম। বর্তমান এই সৌন্দর্য কাজটি প্রায় শেষের দিকে। এরই মধ্যে হলটি তার এই অসাধারণ কার্যক্রমের জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী মহলে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বহিরাগত দর্শনার্থীরা ও এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় করছেন হলের আঙ্গিনায়।

শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী উৎপল সরকার বলেন,”একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের বিরাট একটা অংশ জুড়ে থাকে তার হল লাইফের স্মৃতি। বর্তমানে হলের পরিবেশটা খুবই মনোরম ও সৌন্দর্যপূর্ণ। শেরেবাংলা হলের এই সুসজ্জিত রূপ একজন আবাসিক শিক্ষার্থীর জন্য আনন্দদায়ক। হলের চারপাশ এখন পার্কের মতো। ওখানে যখন বসি কমল বাতাসে আর ফুলের সুবাশে এমন তৃপ্তি পায় যেটা ওখানে না বসলে অনুভব করা সম্ভব না। যা সত্যিই মনোমুগ্ধকর।”

হলের এই কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে হলের তৎকালীন প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন,”আমি বিশ্বাস করি সুন্দর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ শিক্ষার্থীদের মনমানসিকতা ভালো রাখে যা তাদের পড়াশোনায় সহায়ক। সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই আমি এই সৌন্দর্য বর্ধনের ব্যাপারে অগ্রসর হই। এতে আমাদের বিভিন্ন পরিত্যক্ত স্থানগুলোকে পরিষ্কার পরিছন্ন করে সেগুলো ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেই। আমি বিশ্বাস করি হলের সম্মুখের এই স্থানটিতে শিক্ষার্থীরা আড্ডা গল্পে তাদের মনকে প্রফুল্ল রাখবে।

এ বিষয়ে উপাচার্য (রু.দা) অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা হল শিক্ষার্থী বান্ধব হতে হবে। আমাদের এই প্রিয় ক্যাম্পাসটাকে পড়াশোনা ও শিক্ষার্থী বান্ধব করার জন্য সবাইকে নানান রকম প্রয়াস গ্রহণ করতে হবে। সেই লক্ষ্যে প্রভোস্ট মহোদয়ের এই কার্যক্রমটি অবশ্যই ভূয়সী প্রশংসার দাবিদার। শিক্ষার্থীরা অবশ্যই কাজটি উপভোগ করবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!