খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৬শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  খুলনায় ভুয়া এলসির মাধ্যমে আইএফআইসি ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় শেখ ব্রাদার্স এর মালিক এস এম হাফিজুর রহমানের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত

বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ–ভারতের নতুন ব্যবস্থার প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

গেজেট ডেস্ক

ভারতে বন্যা হলে ভাটির দেশ বাংলাদেশে অবধারিতভাবে এর প্রভাব পড়ে। তাই বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মতো দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নতুন কোনো ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ভারতের একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ ধারণার বিষয়টি সামনে আনেন।

বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের আলোচনায় ত্রিপুরার বৃষ্টির প্রসঙ্গটি এসেছে। ত্রিপুরার বাঁধের কথা এসেছে এবং এটি থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি রিলিজ (চলে আসা) হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, পানির উচ্চতা বেশি থাকায় বাঁধ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি রিলিজ হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের বিজিবি ও ভারতের বিএসএফের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। এ ধরনের কোনো সহযোগিতা করা যায় কি না… যখন বন্যা পরিস্থিতি হবে, তখন বৈঠক করা যায়। আমরা এবং ভারত একই অববাহিকায় রয়েছি। এ ছাড়া আমরা একই পানি ব্যবহার করি। সে জন্য দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে এ ধরনের একটি ব্যবস্থায় কাজ করা যায় কি না।’

প্রধান উপদেষ্টা দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টনের বিষয়টি তুলেছেন। প্রধান উপদেষ্টা চাইছেন, পানিবণ্টন নিয়ে যেসব বিষয় আছে, সেটি যেন যৌথভাবে কাজ করে নিষ্পত্তি করা যায়।

নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ
ভারতীয় হাইকমিশন এবং তাদের স্থাপনার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। প্রেস সচিব বলেন, ‘ভারতের হাইকমিশনার জানিয়েছেন যে দূতাবাস এবং বাংলাদেশে ভারতের অন্যান্য স্থাপনা নিয়ে তারা খুব উদ্বিগ্ন। সামাজিক গণমাধ্যমে কিছু পোস্ট দেওয়া হচ্ছে, যেটি দুঃখজনক। যাঁরা এটি করছেন, এটি খুব দুঃখজনক।’

সংখ্যালঘু পরিস্থিতি আলোচনায়
প্রেস সচিব জানান, আলোচনায় সংখ্যালঘুদের প্রসঙ্গটি এসেছে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনালাপে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন যে সংখ্যালঘু নিয়ে কিছু সংবাদ অতিরঞ্জিত। এটির জন্য তিনি ভারতের সাংবাদিকদের আহ্বান করেছেন বাংলাদেশ সফরের জন্য এবং তাঁরা যেন নিজের মতো করে ঘুরে দেখেন—কোথায় কী হয়েছে।

প্রেস সচিব জানান, দুই দেশের জনগণের পর্যায়ে যোগাযোগ নিয়ে কথা হয়েছে। হাইকমিশনার জানিয়েছেন, গত বছর ১৬ লাখ বাংলাদেশি চিকিৎসা, পর্যটনসহ নানা কারণে ভারত সফর করেছেন।

 

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!