কোন এলাকার নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি কিংবা অতিক্রম করছে, ঝুঁকিপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার তালিকা, প্লাবিত এলাকা কিংবা পরবর্তী ৭ দিনে কতটুকু এলাকা প্লাবিত হবে, সবই জানা যাবে মোবাইল ফোনের সেই বার্তা ও ম্যাপে। বন্যার শঙ্কা দেখা দেয়ার সাত দিন আগেই মোবাইল ফোনে বার্তা পৌঁছে যাবে সতর্কসংকেত।
টেক জায়ান্ট গুগলের সহায়তায়, তৈরি ফ্লাড ওয়ার্নিং সিস্টেমের আওতায় এসেছে ৫৫টি জেলার ১০ কোটি মানুষ। বন্যা-পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, নতুন এ প্রযুক্তির সাহায্যে কমবে ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে জানমালের নিরাপত্তা।
সাম্প্রতিক বন্যার ক্ষত না শুকাতেই নতুন করে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে বন্যার শঙ্কা। তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে তীরবর্তী এলাকার লাখো মানুষের।
এ যখন অবস্থা তখন ফ্লাড ওয়ার্নিং সিস্টেমে বা প্লাবন ম্যাপ চালু করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। টেক জায়ান্ট গুগলের সহায়তায় তৈরি ‘ফ্লাড ওয়ার্নিং সিস্টেমে, অ্যান্ডয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা ৭ দিন আগে মোবাইল ফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্যার আগাম সতর্কবার্তার নোটিফিকেশন পাবেন।
যেসব এলাকায় নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি কিংবা বিপৎসীমা অতিক্রম করছে, আশপাশের কোন কোন এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা প্লাবিত হচ্ছে কিংবা শঙ্কা আছে, এ পর্যন্ত কতটুকু এলাকা প্লাবিত হয়েছে, সামনের ৭ দিনে কতটুকু এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা আছে- এর সবই মোবাইল ফোনের সেই বার্তা ও ম্যাপে স্পষ্ট দেখা যাবে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের মুখপাত্র প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া সময় সংবাদকে বলেন, যে এলাকাতে আমাদের পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আছে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী মানুষজন যারা আছেন তাদের হাতে যদি অ্যান্ডয়েড মোবাইল ফোন থাকে তাহলে টেক জায়ান্ট গুগলের সহায়তায় তারা সতর্কসংকেত পাবেন।
বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দিনে দুবার করে মোবাইল ফোনে বার্তা পৌঁছে যাবে। প্রথম পর্যায়ে দেশের ৫৫টি জেলার ১০ কোটি মানুষকে গুগল ফ্লাড ওয়ার্নিং সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে।
বিগত বছরগুলোতে ইউনিয়ন ও প্রত্যন্ত এলাকায় মানুষের কাছে আগাম পূর্বাভাস ও বন্যা পরিস্থিতির সঠিক তথ্য পৌঁছানো যায়নি বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বহুগুণ হয়েছে, স্বীকার করে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের মুখপাত্র জানান, নতুন প্রযুক্তির এই তথ্যসেবা নিয়ে মানুষ জানমালের নিরাপত্তা দিতে সফল হবে পূর্বের চেয়ে বহুগুণে।
ভারত, ভিয়েতনামসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশকয়েকটি দেশে চালু রয়েছে ‘ফ্লাড ওয়ার্নি সিস্টেম।
খুলনা গেজেট/ এস আই