খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ
  সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম মারা গেছেন
  ভারতে হাসপাতালে আগুন লেগে ১০ শিশুর মৃত্যু

বন্যায় মৎস্য খাতে ক্ষতি দুই হাজার কোটি টাকা

গেজেট ডেস্ক

সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

তিনি জানান, সাম্প্রতিককালের ভয়াবহ বন্যায় দেশের ১২টি জেলার ৮৬টি উপজেলায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এসব উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর/দিঘি/খামারের সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজার ৮৯৯। ক্ষতিগ্রস্ত মাছ ও চিংড়ির পরিমাণ ৯০ হাজার ৭৬৮ মেট্রিক টন। অবকাঠামোগতসহ মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৫৯০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

রবিবার সচিবালয়ে ভয়াবহ বন্যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ও করণীয় নিয়ে আলাপকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগে সাম্প্রতিককালের ভয়াবহ বন্যায় ১২টি জেলার ৮৬টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। স্মরণকালের ভয়াবহ এই বন্যায় জান-মালের ক্ষতিসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এর ফলে অনেক গবাদি পশুর মৃত্যু, ভেসে যাওয়াসহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির খাদ্য এবং অন্যান্য পশুখাদ্য নষ্ট হয়েছে। এই খাতে এখন পর্যন্ত আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ দুধ, ডিমসহ প্রায় ৪১১ কোটি টাকা। তিনি বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বেশ কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করেন তিনি।

সেগুলো হলো : জরুরি পশুখাদ্য সরবরাহ ও বিতরণ; গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির রোগ প্রতিরোধে টিকা প্রদান; ঘাসের কাটিং বিতরণ করা। একইভাবে মৎস্য খাতেও চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের জন্য পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করা, যেমন—সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কতা ব্যবস্থা উন্নয়ন, মৎস্য চাষিদের জন্য বন্যা-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কার্যক্রম চালানো, মৎস্য খামারগুলোকে সুরক্ষিত করার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সহায়তা প্রদান করা। এ ছাড়া মুক্ত জলাশয়ে পোনা অবমুক্ত কার্যক্রমের অব্যয়িত অর্থ ব্যয়ে বন্যাকবলিত এলাকার চাষিদের মধ্যে পোনা বিতরণ করা যেতে পারে বলে জানানো হয়।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!