সম্প্রতি বন্ধ ঘোষিত দেশের পাটকলগুলোকে আবার চালু করতে যাচ্ছে সরকার। সরকারি নিয়ন্ত্রণে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে পাটকলগুলো চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
মন্ত্রী জানান, পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার পাটশিল্প সম্প্রসারণে সব ধরনের সহায়তাও দেবে।
সোমবার (৩ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রীর দফতরে মন্ত্রণালয় এবং অধীনস্থ দফতর/সংস্থাগুলোর কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘বহুমুখী পাটপণ্যের বর্তমান বাজার ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে পাটপণ্যের উৎপাদন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও পুনর্বিন্যাস করে বিজেএমসি’র বন্ধ ঘোষিত মিলগুলো জরুরি ভিত্তিতে পুনরায় চালু করতে কাজ করছে সরকার। অবসায়নের পরে দেশের পাটকলগুলোকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি), যৌথ উদ্যোগ জিটুজি বা লিজ মডেলে পরিচালনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব আবার উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা হবে। একই সঙ্গে মিলগুলোকে উপযুক্ত ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন ও পুনরায় চালু এবং বিজেএমসি’র জনবল কাঠামো পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে যৌক্তিকীকরণের বিষয়ে সুপারিশ দিতে গঠিত উচ্চপর্যায়ের দুটি কমিটি ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের চাকরি অবসান এবং পাটকলগুলো বন্ধ ঘোষণার ক্ষেত্রে শ্রম আইনের সংশ্লিষ্ট সব বিধান অনুসরণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের পাওনার পরিমাণ নির্ধারণ এবং তা পরিশোধের ক্ষেত্রেও যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের চাকরি ১ জুলাই থেকে অবসান করায় শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী ৬০ দিনের নোটিশ মেয়াদের মজুরি ছাড়া ওই দিনের পর তাদের আর কোনও দাবি বা পাওনা নেই। ইতোমধ্যে অর্থ বিভাগ থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে নোটিশ মেয়াদের অর্ধেক (৩০ দিনের) মজুরি পরিশোধ করা হয়েছে।’
পাটের ন্যায্যমূল্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকের উৎপাদিত পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। এজন্য বর্তমান সরকার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, পাট ক্রয়-বিক্রয় সহজিকরণের জন্য এসএমএস ভিত্তিক পাট ক্রয়-বিক্রয় ব্যবস্থাকরণ, কাঁচাপাট ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, পাটজাত পণ্য রফতানিতে প্রণোদনা ও অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বড়াতে কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাট চাষিদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি পাট শিল্পের সম্প্রসারণে সব ধরনের সহায়তা দেবে সরকার।’
খুলনা গেজেট / এমএম