অবশেষে অপারেটিং সিস্টেম ‘উইন্ডোজ ১১’ দেখিয়েছে বিশ্ব বিখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। নজরকাড়া লুক ও ডিজাইনে বড়সড় পরিবর্তনের কারণে এরই মধ্যে অনেকের মন জয় করে নিয়েছে উইন্ডোজের নতুন সংস্করণটি।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাজারে আসার কথা রয়েছে অপারেটিং সিস্টেমটির। এতে নতুন উইন্ডোজ স্টোরের দেখা পাবেন ব্যবহারকারীরা। সফটওয়্যার ডেভেলপাররা ওই উইন্ডোজ স্টোরে নিজস্ব ইন-অ্যাপ লেনদেন প্রক্রিয়া ব্যবহার করতে পারবেন এবং এর জন্য মাইক্রোসফটকে কোনো কমিশন দিতে হবে না।
আগের চেয়েও বেশি ব্যবহারবান্ধব করতে উইন্ডোজ ১১-এ অনেক কিছুতেই মানোন্নয়ন করা হয়েছে। উইন্ডোজে ডার্ক এবং লাইট মোড যুক্ত করার বিষয়টি ব্যবহারকারীদের জন্য সারপ্রাইজ ছিল! নতুন সংস্করণটির কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইকন ও অপশন দেখলে স্মার্টফোনের ইন্টারফেসের মতো মনে হবে।
কম্পিউটার চালু্র পরপরই যে পরিবর্তনটি চোখে পড়বে, সেটি হলো ‘স্টার্ট মেনু’। উইন্ডোজ ১১-এর ‘স্টার্ট’ বাটনটি আগের সব উইন্ডোজের মতো টাস্কবারের বাম দিকে নয়, মাঝামাঝিতে। প্রথম প্রথম একটু অস্বাভাবিক মনে হলেও অভ্যস্ত হয়ে গেলে এটাকেই আগের চাইতে ব্যবহারবান্ধব মনে হবে।
যারা ম্যাক ব্যবহার করেন বা করেছেন, তাদের কাছে খুব স্বাভাবিক মনে হবে ব্যাপারটি। কারণ এই অংশের লুকে ম্যাক ওএসকে অনুসরণ করা হয়েছে বলা যায়! অনেকে বলছেন, ওএসটির মাধ্যমে সরাসরি অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর ব্যবসা মডেলে আঘাত করে বসেছে মার্কিন সফটওয়্যার জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি।
উইন্ডোজ ১১-এ অনেক নতুন ফিচারের দেখা মিলবে। যেমন, সহজেই বাহ্যিক মনিটরের সঙ্গে সংযুক্ত একটি কম্পিউটারকে পৃথক করে নিয়ে নিরব কোনো কক্ষে কথা বলার ব্যবস্থা করা যাবে। পরে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে।
গেইমারদেরও নিরাশ করেনি মাইক্রোসফট। অটো এইচডিআর ফিচারটির মাধ্যমে আরো উন্নত গ্রাফিকসের অভিজ্ঞতা পাবেন গেইমাররা। এছাড়াও স্টোরে রয়েছে কয়েকশ গেইমের সংগ্রহশালা, যদিও অনেক গেইমের পেছনে খরচ করতে হবে।
এছাড়া কনটেন্ট নির্মাতা ও স্থানীয় সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি অর্থ দেওয়ার সুবিধা নিয়ে আসবে বলেও জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
খুলনা গেজেট/এনএম