তারুণ্যের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে নতুন বাংলাদেশে বছরে ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। মাত্র মাসখানেক আগে আত্মপ্রকাশ করা দলটির অর্থনৈতিক এই পরিকল্পনার বিস্তারিত ইনভেস্টমেন্ট সামিটে আসা বিদেশিদের জানানো হয়। এ ছাড়া ব্যবসা সহজীকরণে বাংলাদেশকে বিশ্বে ৫০তম অবস্থানে আনার লক্ষ্যের কথা বলেছে এনসিপি।
চারদিনের বিডা ইনভেস্টমেন্ট সামিটে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বিএনপি জামায়াতের পাশাপাশি সুযোগ পেয়েছে এনসিপিও। বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে তারা তাদের এসব অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।
‘চ্যাম্পিয়নিং ইকোনমিক ট্রান্সফরমেশন’ বাংলাদেশ শিরোনামের নথি ঘেঁটে এ তথ্য জানা গেছে। ভিশন হিসেবে ২০২৫ সালকে নির্ধারণ করা হয়েছে। অসমতা কমিয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাদের।
এনসিপির পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, সবুজ ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি খেলাপি ঋণ কমিয়ে ১০ শতাংশের নীচে নামানো। ব্যবসার খরচ কমিয়ে আনতে ১০ বছরের ট্যাক্স হলিডে দেওয়ার পরিকল্পনা জানিয়েছে তারা।
তাছাড়া মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিদে শূন্য শুল্ক আরোপ করবে সংগঠনটি। পরিবেশ, সামাজিক ও সুশাসন (ইএসজি) নির্ভর কোম্পানিগুলোর করপোরেট কর কমিয়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশের মধ্যে আনতে চায় তারা। এ উদ্দেশ্যে ইএসজি ফান্ডও গঠন করার কথা জানানো হয়েছে তাদের পরিকল্পনায়।
অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে ইএসজির ফোকাসে রাখতে চায় এনসিপি। টেক অর্থনৈতিক অঞ্চল করবে তারা যেখানে এআই, আইওটি, সফটওয়্যার, চিপ উৎপাদন প্রাধান্য পাবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন হাবও তৈরি করতে চায় তারা।
২০৩৫ সালের মধ্যে ১ কোটি কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা রয়েছে তরুণদের এ সংগঠনটির। টেকনির্ভর প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশ নারী কর্মীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে চায় দলটি।
দেশের অর্থনীতির বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে জানিয়ে এনসিপির পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক হাব হিসেবে চট্টগ্রাম, খুলনা এবং সিলেটকে আনা হবে। ঢাকা নির্ভর অর্থনীতির বিকেন্দ্রীকরণের উদ্দেশ্যে তারা এ পরিকল্পনা করেছে।
কেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবেন এমন তথ্য উল্লেখ করে সংগঠনটি বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৩ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ মধ্য আয়ের শ্রেণীতে উঠে আসবে। আরও ৩ কোটি মানুষ এ শ্রেণীতে উঠার জন্য প্রস্তুত থাকবে।
খুলনা গেজেট/এএজে