ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে হারিয়ে যাওয়া দেশীয় ফিসিং ট্রলার সহ ১৯ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। টানা ১৫দিন গভীর সমুদ্রে ভাসমান ট্রলার সহ জেলেদের উদ্ধার করার পর আজ বৃহস্পতিবার বিকালে তাদের মোংলা কোস্টগার্ড স্টেশনে আনা হয়।
এ সময় গভীর সমুদ্রে অনিশ্চয়তার মধ্য থেকে ফিরে আসা জেলেরা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। বর্ণনা করেন সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা। এ দিন বিকালে কোস্টগার্ড দিগরাজ স্টেশনে ট্রলার সহ জেলেদের হস্তান্তর করা হয় তাদের মালিক পক্ষের কাছে । বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জাহাজ‘সোনার বাংলার অধিনায়ক কমান্ডার নিজাম উদ্দিন সরদার জানান, গত ১৫ নভেম্বর চট্রগ্রাম থেকে এফবি রানা নামের একটি ফিসিং ট্রলার সহ ১৯ জেলে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। সমুদ্রে মৎস্য আহরণের প্রস্তুতিকালে হঠাৎ ট্রলারের প্রপেলর ভেঙ্গে গতিহীন হয়ে পড়ে জেলেরা। গভীর সমুদ্রে আজানার উদ্দেশ্যে ভাসতে থাকেন তারা। এক পর্যায় গত ৮ ডিসেম্বর ভাসমান ট্রলার সহ জেলেদের উদ্ধার করে ভারতীয় কোস্টগার্ড। পরে দেশীয় জলসামীয় টহলরত বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জাহাজ সোনার বাংলার কাছে হস্তান্তর করা হয় ট্রলার সহ জেলেদের।
জেলেরা জানায়, ভাসমান অবস্থায় তাদের রসদ ফুরিয়ে যায় এবং তারা দ্বিগবিদিক হয়ে পড়েন। গভীর সমুদ্রে ৫দিন না খেয়ে চরম দূরাবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন তারা। আর চরম এ বাস্তবতার কথা বর্ণনা করেন উদ্ধার হওয়া জেলেরা। উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন-ইউসুফ(৩৫), আবু সুফিয়ান(৩৬), রিয়াজ(২৫), শাহ আলম((৪০), সুমন(১৮), জাহাঙ্গীর আলম(৫০), সমশের আলম(২৩), শাখির(২০), তাদলিস(ইসলাম(৪০), সোহেল(২৩), ইসমাইল(৬৫), আব্দুল মালেক(৭০), হাসান(১৮), শফিক (৩০), মোহাম্মাদ জাকির(২৬) জাফর(২৪), মাসুদ রানা(৩৫), আনোয়ার খাঁন(৩৭)। এদের বাড়ি চট্রগ্রাম ও ক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় বলে কোস্টগার্ড জানায়। তাদের উদ্ধার ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের হাতে হস্তান্তরের পর প্রত্যেক জেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা সহ খাদ্য সামগ্রি প্রদান করা হয়।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন