বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতা, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সোমবার (৮ আগস্ট) সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে স্থাপিত ‘মহীয়সী বঙ্গমাতা’ ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
এসময় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস এবং বিভিন্ন হলের প্রভোস্টবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে উপাচার্য প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে বঙ্গমাতা হলের নবনির্মিত ক্যান্টিন উদ্বোধন করেন।
এসময় সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনে, জেলে থাকাকালীন এবং সর্বোপরি সব সময়ে বঙ্গমাতা অত্যন্ত সাহসী ও দূরদর্শী ভূমিকা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুকে সার্বিক পরামর্শ বা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আর যে কারণে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ সঠিক পথে এগিয়েছে, সার্থকতা লাভ করেছে। বঙ্গমাতা এসকল ক্ষেত্রে নেপথ্য কারিগরের ভূমিকা রেখেছেন। তাই আমাদের মেয়েদের তাঁর গুণাবলী ধারণ করে শিখতে হবে কিভাবে সংসার, সন্তান সামলিয়ে প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও টিকে থাকতে হয়। কিভাবে ধৈর্য্যরে সাথে সব মোকাবেলা করতে হয়। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থটি পড়লে তাঁর অবদান সম্পর্কে আরও জানা যায়। তিনি আরও বলেন, বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ বাঙালি জাতির কাছে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
উপাচার্য বঙ্গমাতা হলের নিবাসী ছাত্রীদের প্রতি ক্যান্টিনে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানান। যাতে করে পরস্পরের সাথে দেখা হয়, আলাপ হয় এবং রান্নার সময় বাঁচে, যা পড়াশোনার কাজ ব্যয় করা যায়।
সংক্ষিপ্ত আলোচনাপর্বে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সালমা বেগম। এসময় অন্যান্য হলের প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই