জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন খুলনা আয়োজিত এবং বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লীগে জয় পেয়েছে ডুমুরিয়া তরুন সংঘ ও খুলনা আবাহনী ক্রীড়া চক্র।
বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় মৌসুমি একাদশ বনাম ডুমুরিয়া তরুন সংঘ। খেলায় ডুমুরিয়া তরুন সংঘ ২-১ গোলে মৌসুমি একাদশকে পরাজিত করে। অপর দিকে বিকেল সোয়া ৪টায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে খুলনা আবাহনী ক্রীড়া চক্র ও বলাকা স্পোটিং ক্লাব। খেলায় একমাত্র গোলে বলাকা স্পোটিং ক্লাবকে পরাজিত করে আবাহনী ক্রীড়া চক্র।
ডুমুরিয়া তরুন সংঘ এবং মৌসুমি একাদশের মধ্যেকার খেলা প্রথমার্ধে ১-১ গোলে শেষ হয়। খেলার ২১ মিনিটের সময় মৌসুমির ৫নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় রাশিদুল গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তবে সে গোল বেশীক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ২৮ মিনিটের সময় ডুমুরিয়ার ১৩নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় জুয়েল গোল করে খেলায় সমতা আনে। সমতা নিয়ে বিরতীতে যায় উভয় দল। বিরতী থেকে ফিরে উভয় দলই আক্রমন-পাল্টা আক্রমন করতে থাকে। তখনও তাদের বল পজিশন সমানে সমান। এসময় উভয় দলই বেশ কয়েকটি সহজ গোল মিস করে। কিন্তু ৭৪ মিনিটের সময় ঘটে বিপদ। ছোট ডি বক্সের মধ্যে বল ক্লিয়ার করতে যেয়ে মৌসুমির ১৩নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় মাহমুদের বল জালে প্রবেশ করে। ফলে আত্মঘাতি গোলে পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মৌসুমি একাদশকে। এ খেলাটি পরিচালনা করেন রেফারী নাজমুল ইসলাম, আজিবর রহমান, অপুর্ব মল্লিক ও গোলাম রসুল। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন এহসানুল হক।
বিকেল সোয়া ৪টায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে খুলনা আবাহনী ক্রীড়া চক্র ও বলাকা স্পোটিং ক্লাব। শুরুতেই উভয় দল আক্রমন-পাল্টা আক্রমনের মধ্যে দিয়ে খেলতে থাকে। এসময় উভয় পক্ষের আক্রমন ভাগের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতায় গোল থেকে বঞ্চিত থাকে তারা। উভয় দলের খেলা ছিল অগোছানো। কোন গোল ছাড়াই বিরতীতে যায় উবয় দল। বিরতী থেকে ফিরে উভয় দলই আক্রমন-পাল্টা আক্রমন করতে থাকে। তখনও তাদের বল পজিশন সমানে সমান। খেলা দেখে মনে হয় কোন দলই জিততে পারবেনা। সেভাবেই খেলা আগাতে থাকে। শেষ দিকে আবাহনী দেখেশুনে পরিছন্ন খেলা শুরু করে। এসময় ৭৬ মিনিটে আবাহনীর লেফট আউট বামপ্রাপ্ত থেকে বল বড় ডি বক্সের মধ্যে উঁচু করে ফেললে সেখান থেকে দর্শণীয় হেডে দলের ১০নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় কংকর গোল করে দলকে জয় এনে দেয় (১-০)। স্বপ্নভঙ্গ হয় বলাকার। এ খেলাটি পরিচালনা করেন রেফারী কামাল হোসেন, মোশাররফ হোসেন, আলী আকবর ও সুমন রাজু। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন শহিদুল ইসলাম লালু। খেলা দু’টির ধারাভাষ্য ছিলেন এডভোকেট এম এম সাজ্জাদ আলী ও এডভোকেট প্রজেশ রায়।
মাঠে উপস্থিত ছিলেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মোতালেব মিয়া, এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী, কার্যনির্বাহী সদস্য ও লীগ কমিটির সম্পাদক সুজন আহমেদ ও সদস্য ও লীগ কমিটির সহ-সম্পাদক মনিরুজ্জামান মহসীন, সদস্য জামিল আক্তার লেলিন। ৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার জেলা স্টেডিয়ামে দু’টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর আড়াইটায় দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে মহেশ্বরপাশা ক্লাব বনাম ইয়ং রেডসান ক্লাব। বিকেল সোয়া ৪টায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও বলাকা উইনার্স ক্লাব।
খুলনা গেজেট/ টি আই