জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন খুলনা আয়োজিত এবং বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লীগে দিনের একমাত্র ম্যাচটি অমিমাংসীত ভাবে শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) জেলা স্টেডিয়ামে দিনের একমাত্র ম্যাচে বিকেল ৪টায় মুখোমুখি হয় মৌসুমী একাদশ বনাম উল্কা ক্লাব। খেলাটি ১-১ গোলে অমিমাংসীত ভাবে শেষ হয়। এদিন উভয় দলের ছিল শেষ খেলা। ৬ খেলায় ২ জয়, ১ পরাজয় ও ৩ ড্র করে ৯ পয়েন্ট নিয়ে মাঠে নামে উল্কা ক্লাব। পক্ষান্তরে মৌসুমী একাদশ সমান সংখ্যক ম্যাচে ১ জয়, ৩ পরাজয় ও ২ ড্র করে ৪ পয়েন্ট নিয়ে মাঠে নামে। শক্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে উল্কা খেলা শুরু করে। চলতে থাকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ।
খেলার ১৪ মিনিটের মাথায় উল্কার ১৬নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় মনির গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় (১-০)। গোল হজম করে সমতার আশায় আক্রমণ শুরু করে মৌসুমি। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। ২৭ মিনিটের সময় মৌসুমীর ১০নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় শোভন গোল করে খেলায় সমতা আনে (১-১)। সমতা নিয়ে বিরতীতে যায় উভয় দল। বিরতী থেকে ফিরে উভয় দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে।
সে সময় খেলা চলে মধ্য মাঠে। তবে অন্যান্য দিনের থেকে মাঠ ছিল অনেক ভাল। মাঠে ছিল না কোন পানি বা কাদা। মাঠে রোলার দেয়ায় মাঠ ছিল সমান্তরাল। খেলোয়াড়দের খেলতে অনেকটা সুবিধা হয়েছে। শেষ বাঁশি বাজার আগে উভয় দলের আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়রা গোলের সুযোগ না হারালে হয়তো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো যে কোন দল। কিন্তু গোল করতে না পারায় উভয় দলকে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। খেলাটি পরিচালনা করেন রেফারী মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রহমান ঢালী, নাজমুল ইসলাম ও কিশোর বকসী। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন শহিদুল ইসলাম লালু। খেলাটির মনোমুগ্ধকর ধারাভাষ্য ছিলেন এ্যাড. এম এম সাজ্জাদ আলী ও এ্যাড. প্রজেশ রায়।
মাঠে উপস্থিত ছিলেন জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী, কোষাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খান কালু, কার্যনির্বাহী সদস্য ও লীগ কমিটির সম্পাদক সুজন আহমেদ ও সদস্য ও লীগ কমিটির সহ-সম্পাদক মনিরুজ্জামান মহসীন। ১৯ আগস্ট শুক্রবার জেলা স্টেডিয়ামে একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৪টায় দিনের একমাত্র ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে শক্তিশালী বলাকা স্পোটিং ক্লাব ও ঐতিহ্যবাহি টাউন ক্লাব।
খুলনা গেজেট/এইচআরডি