খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ফিরে এসেছিল বলেই এ দেশ তাবেদারী রাষ্ট্র এবং গৃহযুদ্ধ থেকে রক্ষা পেয়েছিলো। তিনি ফিরে এসে অস্ত্র জমা নিয়ে সকলকে দেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই ভারত মিত্র বাহিনী ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিলো; রক্ষা পেয়েছিলো নিশ্চিত গৃহযুদ্ধ থেকে দেশ। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বসেরা একজন সংগঠক। সে দুঃসময়ে সাইকেলে চড়ে, পায়ে হেঁটে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছিলেন। সে কারণেই বাংলার মানুষ তাকে জীবন দিয়ে ভালোবাসতেন। মানুষের ভালোবাসার কারণেই তিনি সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিজয়ী হয়েছেন। জনগণের ভালোবাসার কারণেই পাক বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার দুঃসাহস পায়নি। বাংলার জনগণের ভয়ে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিলো। তাঁর অনুপস্থিতিতে অপূর্ণ ছিল স্বাধীনতা। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনেই পূর্ণাঙ্গতা পায় স্বাধীনতা। জনগণ ফিরে পায় তাদের ভালোবাসার মানুষকে।
সোমবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, রনজিত কুমার ঘোষ, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম। সভা পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস আলম চাঁন ফারাজী, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, শেখ নুর মোহাম্মদ, অধ্যা. রুনু ইকবাল, তসলিম আহমেদ আশা, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, মনিরুজ্জামান খান খোকন, এস এম আকিল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মিয়া, মীর বরকত আলী, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, চ. ম. মুজিবুর রহমান, বাদল সরদার বাবুল, শেখ আব্দুল আজিজ, এমরানুল হক বাবু, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, ফায়জুল ইসলাম টিটো, মো. আজম খান, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, মীর মো. লিটন, মো. সিহাব উদ্দিন, কাউন্সিলর কণিকা সাহা, কাউন্সিলর রেকসোনা কালাম লিলি, মো. আমির হোসেন, আলী আকবর মাতুব্বর, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান দুলাল, আব্দুল কাদের শেখ, কবীর পাঠান, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, জেসমিন সুলতানা, নুর জাহান রুমি, নূরানী রহমান বিউটি, রেখা খানম, রেজওয়ানা প্রধান, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুর, ফেরদৌসি আলম রিতা, মো. জিলহজ্জ হাওলাদার, মো. শহীদুল হাসান, ইখতিয়ার উদ্দিন মোল্লা, জহির আব্বাস, মাহমুদুর রহমান রাজেস, এম এ হোসেন সবুজ সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এদিকে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে আজ ১০ জানুয়ারি জেলা দলীয় কার্যালয়ে, বিকেলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ। সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী।
আলোচনায় অংশ নেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতিবৃন্দ যথাক্রমে এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, এ এফ এম মাকসুদুর রহমান, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, অধ্যাঃ এ্যাড. নিমাই চন্দ্র রায়, মোঃ রফিকুর রহমান রিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা, দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচি, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. নব কুমার চক্রবর্তী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমা ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাজী শামীম আহসান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোকলেসুর রহমান বাবলু, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খায়রুল আলম, সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে অসিত বরণ বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, শিউলি সরোয়ার, অমিয় অধিকারী, মোঃ আজগর বিশ্বাস তারা, মোঃ জামিল খান, অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল, সরদার আবুল কাশেম ডাবলু, মানিকুজ্জামান অশোক, হোসনে আরা চম্পা, মোঃ মোতালেব হোসেন, শেখ মোঃ আবু হানিফ, এম এম আজিজুর রহমান রাসেল, খান সাইফুল ইসলাম, এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, এ্যাড. মাহমুদা ফারজানা সেতু, মমতাজ শিরিন ময়না, সরদার মিজানুর রহমান, মোঃ শহিদুল ইসলাম, সরদার জাকির, অজিত বিশ্বাস, এ বি এম কামরুল ইসলাম, দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পি, মোঃ পারভেজ হাওলাদার, মোঃ ইমরান হোসেন, রেহেনা আফরোজ শোভা, সাবিনা ইয়াসমিন, সোনিয়া খাতুন, মাহফুজুর রহমান সোহাগ, খান আবু সাইদ, আছিফুর রহমান রানা, মনোয়ারা খাতুন শিউলি, মারুফ হোসেন, তানভির রহমান আকাম, আরাফাত খান, রাকিব আহমুদ, আল মাহমুদ প্রিন্স, চিশতি নাজমুল বাশার, শেখ মোঃ রাসেল, খায়রুল বাশার, আলমগীর হোসেন রাজু, শারমিন সুলতানা রুনা, লাবনী আক্তার, রোজলীন সরকার, জান্নাতুল হাওয়া শান্তা, এ্যাড. পলাশি রায়, সাইফুল ইসলাম সাইফ, বিশ্বজীত কুমার মন্ডল,রুবেল ইসলাম আকাশ, আব্দুল খালেক স্বাধীন, নীল মনি বিশ্বাস, জিহাদ হোসেন প্রমূখ।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর উপর লিখিত বই “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” জেলা শাখার সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে ৯ টায় মিনিটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড সুজিত অধিকারী, বিএমএ ছালাম, কামরুজ্জামান জামাল, এস এম খালেদীন রশীদী সুকর্ন, মোজাফফর মোল্লা, অসিত বরণ বিশ্বাস, জামিল খান, শেখ মো আবু হানিফ, আজিজুর রহমান রাসেল সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।