বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যসহ দেশের সকল ভাস্কর্য রক্ষায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রবিবার (৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উত্তম লাহিড়ীর পক্ষে করা এই রিটে আইনজীবী হচ্ছেন নাহিদ সুলতানা যুথি ও এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম।
রিটে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনকে কেন্দ্র করে যে কোন ধরনের নৈরাজ্য ও আইন শৃঙ্খলার অবনতি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সেই সাথে ভাস্কর্য নিয়ে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এর আগে সকালে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ খায়রুল আলমের কোর্ট থেকে রিট দায়েরের অনুমতি নেন রিটকারীরা। সোমবার (৭ ডিসেম্বর) এই কোর্টেই রিটের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে রাতের আঁধারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়। এই কাজে দুইজন অংশ নেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৬ মিনিট। দু’জনই দাড়িওয়ালা। টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত দুজনের মধ্যে একজনের পিঠে ব্যাগ ঝোলানো রয়েছে। শহরের যে সড়কটি মজমপুর গেট হয়ে পাঁচ রাস্তার মোড়ে এসে মিশেছে পায়ে হেঁটে এসে টুপি, দাড়িওয়ালা,পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত যুবক বয়সী ওই দুজন বাঁশ বেয়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে উঠে এলোপাথাড়ি হাতে থাকা লাঠি অথবা লোহার দিয়ে ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করে। মাত্র এক মিনিটের মধ্যে ভাস্কর্যটি ভেঙে তারা নির্বিঘ্নে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এই ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তীব্র ক্ষোভ জানিয়ছেন। সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিকে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের অভিযোগে চার মাদ্রাসাছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আবু বক্কর, নাহিদ, আলামিন, ইউসুফ। তারা সবাই ইবনে মাদ্রাসার ছাত্র। শহরের একটি মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
খুলনা গেজেট / এমএম