জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকারী পলাতক দন্ডিত আসামিদের দেশে ফেরাতে বিদেশি কূটনীতিকদের সহায়তা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের অংশগ্রহণে রোববার এক ভার্চুয়াল সভায় মন্ত্রী এ সহায়তা কামনা করেন।
বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় ঢাকায় কর্মরত ও দিল্লিতে অবস্থানরত বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত ৮৩ জন হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূত অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সংযুক্ত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পাঁচজন খুনি এখনো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক। আমরা ইতোমধ্যে দুজনের অবস্থান জানতে পেরেছি। বাকি তিনজনের অবস্থান আমরা এখনো জানি না।’ এসব খুনির অবস্থান নির্ণয় ও দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য সব বন্ধুরাষ্ট্রের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
ড. আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুর বিচারের রায় কার্যকর করতে চাই। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এসব খুনিকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের ব্যবস্থা করে। অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এ বিচার কাজ সম্পন্ন করা হয়।’ এ সময় স্বাধীনতার পটভূমি ও গণতন্ত্র সুরক্ষিত করতে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ ভার্চুয়াল সভায় জাতির পিতার ক্যারিসমেটিক নেতৃত্ব, পররাষ্ট্রনীতি, আদর্শ ও কার্যক্রমসহ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যকে হত্যার বিষয়ে আলোকপাত করে বক্তব্য দেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। এ ছাড়া পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সূচনা বক্তব্য দেন।
সভার শুরুতে অংশগ্রহণকারী সবাই যার যার অবস্থান থেকে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ