কোয়ারেন্টাইন জটিলতায় শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়েছিল বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফর। এরপর অবশ্য নিয়মিত অনুশীলনের মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে সময় নেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ৪৫জন ক্রিকেটার নিয়ে আয়োজন করা হয় বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ।
এমন সফল একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের পর নভেম্বর-ডিসেম্বরে আরও একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বিসিবি। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়েই মাঠে গড়াবে পাঁচ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। মুজিব বর্ষ হওয়ায় এই টুর্নামেন্টের নাম দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
করপোরেট টুর্নামেন্ট হবে নাকি শেষ পর্যন্ত বিসিবি এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যে কারণে ৭দিন পিছিয়ে শুরু হতে পারে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। করপোরেট দল চেয়ে মঙ্গলবার বিজ্ঞাপনও দিয়েছে বিসিবি।
যদি করপোরেট দলের সংখ্যা কম হয়, তাহলে বাকি দলগুলোর স্পন্সর করবে বিসিবি। অথবা পুরো টুর্নামেন্টই হতে পারে বিসিবির অধীনে। এছাড়া এই টুর্নামেন্টে দল গঠন করা হবে ড্রাফটের ভিত্তিতে। বিসিবির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জাতীয় দল, এইচপি, অনুর্ধ্ব-১৯ ও ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরমারদের নিয়ে হবে এই ড্রাফট। মোট ১৬ জন করে ৮০ ক্রিকেটার বাছাই করে নিবে ৫টি দল। দল গঠনে প্রতিটি দল সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা ব্যয় করতে পারবে।
বিসিবির সেই সূত্র থেকে জানা যায়, ‘প্রতিটি করপোরেট হাউস দল গঠনে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা ব্যয় করতে পারবে। কোনো বিদেশী ক্রিকেটার খেলবে না টুর্ণামেন্টে। স্থানীয় কোচরাই দলগুলো কোচিং করাবেন।’
১৫ নভেম্বর টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর পরিকল্পনাতেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বোর্ড। সিঙ্গেল লিগ পদ্ধতিতে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো হবে শুধুমাত্র মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। করোনার এই প্রাদুর্ভাবের মাঝে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আয়োজন করতে পারছে না বিসিবি।
যে কারণে পাঁচ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটিতে বেশ বড় অংকের বাজেট ধরা হয়েছে। প্রতি দলের সম্ভাব্য বাজেট ২ কোটি টাকা। সেই হিসেবে প্রাইজমানি ছাড়া টুর্নামেন্টের বাজেট ১০ কোটি টাকা। চার ক্যাটাগরীর ক্রিকেটাতে থাকা ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা পাবেন ১০ লাখ, ‘বি’ ক্যাটাগরি পাবেন ৮ লাখ, ‘সি’ ক্যাটাগরির জন্য রাখা হয়েছে ৬ লাখ এবং ‘ডি’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা পাবেন ৪ লক্ষ টাকা করে।
এদিকে আসন্ন এই টুর্নামেন্টে থাকবে না কোনো বিদেশি ক্রিকেটার। প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালের দিনই বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান নিশ্চিত করেছিলেন। তবে প্রতি দলের কোচিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন স্থানীয় কোচরা। টি-টোয়েন্টি এই টুর্নামেন্ট শেষে জানুয়ারীর শেষ সপ্তাহে মাঠে গড়াতে পারে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট।
খুলনা গেজেট/এএমআর