মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস পালন করেছে। ২০২১ উপলক্ষ্যে বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা ও বন্দর এলাকার সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান আলোক সজ্জা করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ এর প্রতিপাদ্য বিষয় “বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন শিশুর হৃদয় হোক রঙিন” সম্মলিত ব্যানার মোংলা বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনায় টানানো, মোংলা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের রচনা প্রতিযোগীতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা, আলোচনা অনুষ্ঠান (ছোটদের বঙ্গবন্ধু) এবং ডকুমেন্টারী প্রদর্শন করা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারীদের মাঝে জনক বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই বিতরন করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ গিয়াস উদ্দিন (উপ-সচিব)’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মাদ মুসা। বিশেষ অতিথি ক্যাপ্টেন এম আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার, সদস্য (হারবার ও মেরিন) ও মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন)।
এসময় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এডমিরাল মোহাম্মাদ মুসা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংরা সপ্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতার সোনার বাংলা বাস্তা বায়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যায় নিয়ে মোংরা বন্দরের প্রতিটি কর্মকর্তা কর্মচারীকে আস্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তা হলেই শক্তিশালী হবে দেশের অর্থনীতি।
মোংলা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মুসা। এছাড়াও বন্দর হাসপাতালে ভর্তি রুগিদের উন্নতমানের প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হয়।
পরিশেষে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সকল মসজিদে (বাদ যোহর) বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিন ব্যাপী কর্মসুচি শেষ করা হয়।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি