ফ্রিজ এখন প্রায় সবার বাড়িতেই আছে। তাই মাংস কিংবা অন্যান্য খাবার সংরক্ষণের জন্য খুব একটা চিন্তা করতে হয় না। এরপরও যারা এমন আছেন যাদের বাড়িতে ফ্রিজ নেই কিংবা ফ্রিজ থাকলেও তাতে খুব বেশি জায়গা নেই তারা ভিন্ন উপায়ে মাংস সংরক্ষণ করতে পারেন। আপনি জেনে অবাক হবেন, ফ্রিজ ছাড়াও মাংস সংরক্ষণ করা যায় এবং তা প্রায় বছরখানেক ভালো থাকে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ফ্রিজ ছাড়া মাংস সংরক্ষণের উপায়-
বিভিন্ন টক ফলের আচার তো আমরা খেয়েই থাকি, কিন্তু মাংস দিয়েও যে আচার তৈরি করা যায় তা কি জানতেন? মাংসের এ আচার কিন্তু অনেকদিন রেখে খাওয়া যায় এবং এর স্বাদও অত্যন্ত মজাদার। মাংসের আচার বানানোর জন্য আপনাকে প্রথমে মাংস টুকরা করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর আপনার পছন্দ অনুযায়ী মসলা মাখিয়ে নিতে হবে। তেল গরম করে মাংসগুলো ভেজে নেবেন। এরপর ঠান্ডা হয়ে গেলে কাঁচের জারে তুলে নিন। তাতে সরিষার তেল দিতে হবে যেন সেই তেলে মাংসগুলো ডুবে থাকে। এভাবে মাংসের আচার খুব সহজেই তৈরি করা যায়। এই আচার মাঝে মাঝে রোদে দেবেন। এভাবে ছয়-মাস পর্যন্ত খেতে পারবেন।
সসেজ
সসেজ বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় একটি খাবার। এটি আসলে এক ধরনের প্রসেসড ফুড। যা বিভিন্ন রান্নায় খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়। এভাবে ফ্রিজ ছাড়াই মাংস সংরক্ষণ করতে পারবেন। সসেজ তৈরির জন্য প্রথমে মাংস কিমা করে নিন। এরপর তাতে মসলা ও প্রিজারভেটিভ মিশিয়ে মাংস মেখে নিন। সসেজের খোল তৈরি করে তাতে মিশ্রণটি ভরে দিন। সসেজগুলো কড়া রোদে টানা কয়েক দিন শুকিয়ে বাইরে ঝুলিয়ে রাখুন। এভাবে সসেজ ভালো থাকবে তিন-চার মাস পর্যন্ত।
মাংসের শুঁটকি
মাছের শুঁটকি আমরা সবাই চিনলেও মাংসের শুঁটকির সঙ্গে অনেকেই পরিচিত নন। এটি আসলে মাংস সংরক্ষণের অন্যতম পদ্ধতি। অনেক আগে যখন ফ্রিজ খুব একটা সহজলভ্য ছিল না তখন মাংস দিয়ে শুঁটকি তৈরি করে সংরক্ষণ করা হতো। মাংসের শুঁটকি তৈরির জন্য প্রথমে মাংস পাতলা ও লম্বা করে কেটে নিতে হবে। এরপর তাতে মসলা মাখিয়ে রোদে দিতে হবে। ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে এয়ারটাইট বক্সে সংরক্ষণ করতে হবে। এভাবে রাখলে তা প্রায় বছরখানেক ভালো থাকবে। এই মাংস রান্নার আগে সেদ্ধ করে কিংবা পানিতে দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হয়।
খুলনা গেজেট/এমএম