ব্যবসা, বিনিয়োগ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদারে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স। এই উদ্দেশ্য পূরণে উভয়পক্ষ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি লেটার অব ইনটেন্ট সই করেছে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্যারিসে এলিসি প্রাসাদে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্মতিপত্রে সই করেছে।
বৈঠকের পরে এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, দুই দেশের অংশীদারিত্বে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয় আরও দৃঢ় করতে উভয় পক্ষ আগ্রহী।
সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার যে সম্মতিপত্র সই করেছে, তাতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আধুনিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রযুক্তি বিনিময়ের মতো বিষয়গুলো যুক্ত থাকছে।
যৌথ ঘোষণায় দুই দেশ তাদের এই সম্পর্কের একটি কৌশলগত দিক নির্দেশনা দেওয়ার লক্ষ্যে সহযোগিতার সব বিষয়ে নিয়মিতভাবে রাজনৈতিক আলোচনা আয়োজনের ওপর জোর দিয়েছে।
দুই পক্ষ রাজনীতি, কূটনীতি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময়সহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতায় জোর দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-২১০৬) মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ২০ মিনিটে চার্লস দ্যা গল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
প্রেস সচিব জানান, বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার মোহাম্মদ তালহা ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রধান স্বাগত জানিয়েছেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকারি বাসভবন এলিসি প্যালেসে পৌঁছালে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রেসিডেন্ট।
ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং প্রেসিডেন্টের গার্ড রেজিমেন্ট তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
খুলনা গেজেট/ এস আই