গাজায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের প্রতিবাদে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শেষ হয়েছে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে এবং ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে। শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় এই গণজমায়েতের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব মতের মানুষের অভূতপূর্ব ঐক্য দেখলো দেশের মানুষ।
গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে একটি ইভেন্ট পেজ তৈরি করেছে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন। প্রথম দিকে দেশের জনপ্রিয় ইসলামী ব্যক্তিত্বরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ভিডিও বার্তা দিতে থাকেন। ধীরে ধীরে এই বার্তায় শরীক হন খেলোয়াড়, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ রাজনীতিবিদরা। গতকাল জমায়েতে সব মতের মানুষের সমান অংশগ্রহণ দেখা গেছে।
মূল অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত হয়ে গাজার প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, গণঅধিকার পরিষদসহ মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা ও প্রতিনিধিরা।
কর্মসূচিতে বিএনপির পক্ষ থেকে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম। এছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, এবি পার্টির মজিবুর রহমানর মঞ্জু, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনসিসির পক্ষে হাসনাত আবদুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের পক্ষে নুরুল হক নুর, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জাগপার রাশেদ প্রধান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল পৌনে ৪টায় মোনাজাত শুরু হয়ে ৪টায় শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। সমাবেশে মূল ঘোষণাপত্র পাঠ করেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
এর আগে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর জনগণকে স্লোগানে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি বক্তব্য দেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ ও ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
খুলনা গেজেট/হিমালয়/এএজে