নিন্দুকেরা নাম, যশ ও খ্যাতিতে ঈর্ষান্বিত। ক্ষতি করতে গুজব ছড়িয়েছেন চিকিৎসক তাপস কান্তি পোদ্দার মরে গেছেন। এ প্রচারে শুরু হয় স্বজনদের আহাজারি। দূর-দুরান্তের নিকটাত্মীয় ও পরিচিতজনরা খোঁজ নিতে শুরু করেন মুঠোফোনে। শুরু হয় শোকাবহ ও বেদনাদায়ক অবস্থা। এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসক তাপস কান্তি পোদ্দার নিজ পেজে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে প্রমান করলেন তিনি মরেন নাই। তিনি তার ফেসবুক প্রেফাইল লিখেছেন এ তথ্য ভূয়া। অত্র এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে যে আমি ডাক্তার তাপস কান্তি পোদ্দার মারা গেছি। ইহা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভুয়া। আমি পরম করুণাময়ের কৃপায় আপনাদের সকলের আশীর্বাদে সুস্থ আছি এবং আমি প্রতিদিনের ন্যায় আমার প্রতিষ্ঠানে (শান্তি সেবা সদন, চিতলমারী) রোগী দেখছি। আপনারা গুজবে কান দিবেন না।’ স্ট্যাটাসটি সাথে সাথে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। অসংখ্য শুভাকাঙ্খি সেটি শেয়ার করেন। আর ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায়।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে রোগী দেখার সময় চেম্বারে বসে চিকিৎসক তাপস কান্তি পোদ্দার বলেন, ‘সোমবার বিকেলে অনেকে ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করেন। অনেকে আবার ফোনে খোঁজ-খবর নেন আমি বেঁচে আছি কিনা। পরে বুঝতে পারলাম এটা নিন্দুকদের কাজ। তাই আতীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্খিদের জ্ঞাতার্থে ফেসবুকে এ স্ট্যাটাসটা দিয়েছি।’
সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিরা জানান, চিকিৎসক তাপস কান্তি পোদ্দার বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে ২০০৩ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। ২০০৭ সালে চিতলমারী উপজেলায় চিকিৎসা সেবা শুরু করেন। সেই থেকে অত্যান্ত সুনামের সাথে চিতলমারীসহ আশপাশ উপজেলার মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। তিনি এলাকায় গরীবের বন্ধু বলে পরিচিত।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল