সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বিশ্বে যে মানুষটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত-সমালোচিত, সেই তিনিই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় অস্তিত্ব সংকটের মুখে। বলা হচ্ছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা।
উসকানিমূলক পোস্টের অভিযোগে ইতিমধ্যে টুইটার আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ট্রাম্পকে। এদিকে ফেসবুকেও তিনি দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ রয়েছেন। তবে ট্রাম্পের ফেসবুক অ্যকাউন্টের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে, নাকি তার অ্যাকাউন্ট আজীবনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে- এ ব্যাপারে ফেসবুকের ‘ওভারসাইট বোর্ড’ সিদ্ধান্ত নেবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তার আগ পর্যন্ত ফেসবুকে ট্রাম্প নির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
জটিল ও স্পর্শকাতর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গত বছর গঠন করা হয় ওভারসাইড বোর্ড। এটি একটি স্বতন্ত্র সংস্থা এবং এর সিদ্ধান্ত মানা বাধ্যতামূলক। ওভারসাইড বোর্ডের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করার ক্ষমতা ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বা ফেসবুকের অন্য কারোর নেই। বিশ্বের খ্যাতনামা বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক নেতাদের সমন্বয়ে এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
ফেসবুকের কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জানুয়ারির ৭ তারিখে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্তটি প্রয়োজনীয় এবং সঠিক ছিল। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে সহায়তা করা। এ কারণেই সেময় আমরা বলেছিলাম যে, ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত থাকবে। আর এখন বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে পর্যালোচনা করবে ওভারসাইট বোর্ড। বোর্ডের সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকবে।’
খুলনা গেজেট/কেএম