যশোরে এক গৃহবধূর ছবি এডিটের মাধ্যমে অশ্লিল করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ ও চাঁদা দাবির ঘটনায় উৎপল দাস নামে একজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ আদালতে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শম্পা বসু অভিযোগে তদন্ত করে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল যশোরকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামি উৎপল দাস মণিরামপুর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের অরুণ দাসের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি ও আসামির বাড়ি পাশাপাশি গ্রামে। বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সুবাদের ওই গৃহবধূর স্বামীর সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে উৎপল দাম। এক পর্যায়ে গত নভেম্বর মাসে গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে ছিল না। এ দিন আসামি উৎপল দাস বাড়িতে এসে গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে তাড়িয়ে দেয়ায় গৃহবধূর উপর ক্ষিপ্ত হয়। গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে আসলে বিষয়টি তাকে জানানো হয়। এরপর আসামি উৎপল গৃহবধূর স্বামীর মোবাইল থেকে নেয়া ছবি এডিট করে একটি ভুয়া একাউন্ট খুলে গত ২৩ ডিসেম্বর প্রচার করে। ২৫ ডিসেম্বর আসামিকে বাড়ির সামনে রাস্তায় পেয়ে তার দেয়া পোস্ট সরিয়ে ফেরতে বললে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় পোস্টটি রেখে দেয়ায় তিনি পণ্যগ্রাফি আইনে এ মামলা করেন।