দীর্ঘদিন পর আবারো বড় পর্দায় আসছেন চিত্রনায়িকা সাবরিনা সুলতানা কেয়া। দেশে করোনা সংক্রমণের আগে রাকিবুল আলম রাকিবের ‘ইয়েস ম্যাডাম’- শিরোনামের একটি চলচ্চিত্রের শুটিং শেষ করেন তিনি। এতে কেয়াকে এসপি’র চরিত্রে দেখা যাবে। প্রথমবারেরমতো এমন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
কেয়া বলেন, প্রেম-ভালোবাসার কিংবা সামাজিক গল্পের অনেক ছবিতে কাজ করেছি। প্রতিটি ছবিতে আমার চরিত্রে নতুনত্ব ছিল। তবে অ্যাকশন চরিত্রে পর্দায় দর্শক আমাকে দেখেননি। এবার সেই আক্ষেপ দূর করবো।
প্রথমবারেরমতো পুলিশ চরিত্রে অভিনয় করেছি। এখানে আমাকে দর্শকরা মারদাঙ্গা রূপে দেখবেন। এটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জও বটে। কাজটি করে বেশ ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে, চরিত্রটিতে নিজেকে ভাঙার সুযোগ পেয়েছি। শুটিং শেষ হলেও করোনাভাইরাসের কারণে সব বন্ধ থাকায় ডাবিং করতে পারিনি এখনো। খুব শিগগিরই হয়তো ছবিটির ডাবিং শেষ করতে পারবো। এই ছবিতে কেয়ার বিপরীতে অভিনয় করেছেন শিপন।
২০০১ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কঠিন বাস্তব’-ছবির মধ্য দিয়ে রুপালি পর্দায় কেয়ার অভিষেক হয়। এতে তিনি অভিনয় করেন আমিন খান ও রিয়াজের বিপরীতে। প্রথম ছবিতেই দারুণ সাড়া পান কেয়া। পরবর্তীতে মান্না, শাকিব খান, ফেরদৌসসহ ঢালিউডের সব নায়কের বিপরীতে তাকে দেখা গেছে। তার মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ ছবি হলো ‘ব্ল্যাকমানি’। এটি ২০১৫ সালে মুক্তি পায়।
ক্যারিয়ারের সু-সময়ে ২০০৪ সালে হঠাৎ এই অভিনেত্রী আড়ালে চলে যান। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি আসলে সেই সময় আড়ালে যাইনি। সেই সময় একটি রোড এক্সিডেন্টে আমার ভাই মারা যায়। আমার মা পা হারান। আমার সবকিছু দেখাশোনা করতেন আমার মা। কারণ তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। মায়ের অনুপস্থিতিতে ক্যারিয়ারে ছন্দ-পতন ঘটে। এই সময়ে অনেক অভিনেত্রী চলচ্চিত্রের বাইরে ওয়েব সিরিজসহ ডিজিটাল নানা প্ল্যাটফরমে কাজ করছেন। এ ব্যাপারে কেয়া কি ভাবছেন?
তিনি বলেন, আমি কয়েকটি ওয়েব সিরিজের প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু আমি সেগুলো না করে দিয়েছি। কারণ ওগুলোতে নাকি কিছুটা খোলামেলা অভিনয় করতে হবে। ফিল্মের চেয়ে যদি খোলামেলা হয় তাহলে সেটি তো অন্যরকম হয়ে যাবে। এটি কিন্তু আমাকে দিয়ে সম্ভব না। তাই ওয়েব সিরিজে এখনো কাজ করা হয়নি। যদি ভালো কোনো গল্প ও চরিত্র পাই তাহলে ওয়েব সিরিজে কাজ করার ইচ্ছে আছে।