রবিবার বিপিএলের কোনো ম্যাচ ছিল না। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে মেহেদী হাসান মিরাজের মনোমালিন্যে সারাদিনই উত্তপ্ত থেকেছে ক্রিকেট অঙ্গন। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর মিরাজের মান ভেঙেছে অবশ্য, তবে দায়িত্ব ফিরিয়ে দিলেও তিনি আর নেতৃত্ব দিতে চান না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পঞ্চম ম্যাচের আগে হুট করে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হয় মিরাজকে। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে রবিবার (৩০ জানুয়ারি) দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মিরাজ। বিপিএলের বাকি অংশে খেলতে চান না জানিয়ে দল ও বোর্ডের কাছে ইমেইলও পাঠান।
তবে সন্ধ্যায় মিরাজের সাথে আলোচনা করে সব সমস্যার সমাধান করে দল। এরপর সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ জানান, অধিনায়কত্ব নিতে আর আগ্রহী নন তিনি, তবে খেলবেন সাধারণ একজন খেলোয়াড় হিসেবে।
মিরাজ বলেন, ‘এখন যদি আমাকে প্রস্তাব দেয়া হয়, সত্যি কথা বলতে আমি করব না। আমি এখন একজন খেলোয়াড় হিসেবে খেলব দলে। কিন্তু আমাকে যদি পরবর্তীতে ম্যানেজমেন্ট থেকে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয় তাহলে আমি করব না। তবে ক্রিকেটার হিসেবে চেষ্টা করব নিজে ভালো পারফর্ম করার এবং দলও যাতে ভালো খেলে। ভালো হচ্ছে ইনশাআল্লাহ, আমি চেষ্টা করব এভাবেই ভালো করার জন্য।’
মিরাজের দাবি, অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর বিষয়টি ম্যাচের আগমুহূর্তে জানানোয় অভিমান জমেছিল তার। মিরাজের ভাষায়, ‘আমাকে আগে জানালে হলে এই সমস্যা হত না। এটা তাদের দল, তারা যাকে ইচ্ছা তাকে অধিনায়ক করবে; এটা তাদের ব্যাপার। তবে আমি তো তাদের কাছে অধিনায়কত্ব চাইনি। এখন সরিয়ে দিয়েছে এটাও বিষয় না। শুধু আগে না বলাতে আমি কষ্ট পেয়েছি। যে কোনো ক্রিকেটারই এতে কষ্ট পাবে।’
‘আমি এমনিতেও ছুটি নিতাম। আমার মা অসুস্থ। সে জন্য আমার তার কাছে যেতে হত। এখন আমাকে আবার অধিনায়কত্ব দিলেও আমি করব না।’– বলেন তিনি।