খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিলো পাকিস্তান
  চার দিনের সরকারি সফর শেষে চীন থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
  বরগুনার পাথরঘাটায় বাস ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে একসঙ্গে তিন ভাইয়ের মৃত্যু

ফেরাউন নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ, ১৯২২ সালের পর নতুন যা জানা গেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০৩ বছর পর মিশরে আরেক ফেরাউনের (ফারাও) সমাধি খুঁজে পাওয়া গেছে। একে দেশটির প্রত্নতত্ত্ব গবেষণায় নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সভ্যতার তীর্থভূমি মিশরের পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্ববিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ খবর পাওয়া গেছে।

গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে নীল নদের পূর্ব তীরে, লাক্সরের কাছে অবস্থিত রাজাদের উপত্যকায় ফেরাউন দ্বিতীয় থুতমোসের একটি রাজকীয় সমাধি পাওয়া গেছে। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার অংশ হিসেবে এটি যুক্তরাজ্য ও মিশরের যৌথ উদ্যোগে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমাধিটি ফেরাউন দ্বিতীয় থুতমোসের বলে নিশ্চিত করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের শাসক ছিলেন তিনি। প্রায় ১০৩ বছর আগে আবিষ্কৃত ফেরাউন তুতেনখামুনের সমাধির পর এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার বলে মনে করা হচ্ছে।

যেভাবে চিহ্নিত হলো সমাধি: সমাধির ওপরে থাকা অ্যালাব্যাস্টারের পাত্রে ফেরাউন দ্বিতীয় থুতমোস এবং তার স্ত্রী রানি হাতশেপসুতের নাম খোদাই করা ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা এই লেখাগুলোর মাধ্যমেই সমাধির পরিচয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

রানি হাতশেপসুত ছিলেন মিশরের ইতিহাসে স্বল্প সংখ্যক নারী শাসকদের অন্যতম। সমাধির ভেতর থেকে রাজকীয় দাফন সামগ্রীর কিছু অংশ, নীল রঙের লিপি, হলুদ রঙের তারা এবং ধর্মীয় লেখাযুক্ত ধাতব বস্তুর টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

গবেষকদের মতে, দ্বিতীয় থুতমোসের মৃত্যুর কয়েক দিনের মধ্যে প্রবল বন্যায় সমাধিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সমাধির বেশিরভাগ বস্তু স্থানান্তরিত হয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে এবং সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে, ১৯২২ সালে বিখ্যাত ফারাও তুতেনখামুনের সমাধি আবিষ্কৃত হয়, যা নিয়ে পরবর্তী কয়েক দশক ধরে বিস্তর গবেষণা হয়। এক্স-রে বিশ্লেষণে দেখা যায়, তার মাথার পেছনের দিকে আঘাতের চিহ্ন এবং রক্ত জমাট বাঁধার প্রমাণ পাওয়া যায়। এতে করে তাকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হয়।

তবে, পরবর্তীতে ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায়, তুতেনখামুনের মৃত্যু মস্তিষ্কে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের ধারণা, তার বাবা-মা ছিলেন পরস্পর ভাই-বোন, যা তার (তুতেনখামুন) জিনগত সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং এক ধরনের রক্তরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।

নতুন এই প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার মিশরের ইতিহাসের পাশাপাশি ফারাওদের সম্পর্কে গবেষণায় আরও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!