আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার দায়িত্বে থাকা দুই মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার দুই মন্ত্রণালয়ের নীতি নির্ধারকরা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে দুই মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুই মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কীভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে, কোন প্রক্রিয়ায় খোলা হবে সেটি তারা ঠিক করবেন। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন খুব শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।
বৈঠক সূত্রে আরো জানা যায়, ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও ক্লাসের ক্ষেত্রে যাদের পরীক্ষা আছে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এক্ষেত্রে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রাধান্য পাবেন। এর পর ধাপে ধাপে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।
এদিকে, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে স্থগিত থাকা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত ১০ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এজন্য একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করে ওই আলোকে পরীক্ষা নিতে চায় সরকার।
সর্বশেষ নবম-দশম শ্রেণির প্রতিটি বিষয় থেকে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমিয়ে এ সিলেবাস তৈরি করার প্রস্তাবনা দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বৃহস্পতিবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজ আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছিল। আমরা সেই আলোকে সিলেবাসে প্রত্যেকটা চাপ্টার বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত করে একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করেছি।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) পিএ টু চেয়ারম্যান মো. মোছাদ্দেক হোছাইন বলেন, আমাদের বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাবনা (গত রোববার) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি অনুমোদন দেয়া হলে শিক্ষাবোর্ডগুলো থেকে তা প্রকাশ করা হবে। সেই আলোকে এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার আয়োজন হতে পারে।
প্রসঙ্গত, করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের পঞ্চম, অষ্টম ও এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করে অটোপাস দেয়া হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষের এক মাস পার হতে চললেও এখনো বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কয়েক দফায় আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত এ ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই