খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ মাঘ, ১৪৩১ | ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল

ফেব্রুয়ারিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ৩০ ছাত্র সংগঠনের ঐকমত্য

গেজেট ডেস্ক

আগামী জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে কিংবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে বলে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ৩০টি ছাত্র সংগঠন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময় সভায় তারা এ সিদ্ধান্ত নেন।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামটরের রূপায়ণ টাওয়ারে এ সভা হয়। এতে ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ কয়েকটি ইসলামী দল অংশ নেয়। তবে ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র ফেডারেশনসহ বামপন্থি আট ছাত্র সংগঠনের মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট সভায় অংশ নেয়নি। তারা বলছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ছাত্র সংগঠনগুলোকে না নেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তারা যাননি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ড. ইউনূসের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনের সভা ছিল না। কিন্তু অনেক গণমাধ্যম সেটিকে প্রচার করেছে ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে ড. ইউনূসের সভা। এতেই সমস্যাটি হয়েছে।

ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতি একটি প্রজন্মের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেছিল। আজকের সভায় আমরা একমত হয়েছি– জানুয়ারির শেষ অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ডাকসুসহ সারাদেশে ছাত্র সংসদ শুরু হয়ে যাক। কারণ, মার্চে রোজা (মাহে রমজান)। এ বিষয়ে সভায় অংশ নেওয়া সংগঠনগুলো একমত হয়েছে বলে জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ঐকমত্য ছাড়াও আরেকটি বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি– আমরা যে সংস্কার চাচ্ছি, আগামী ২০ তারিখে সব ছাত্র সংগঠন সে বিষয়ে একটি করে প্রস্তাব দেবে। আজকে ৩০টি সংগঠনের নেতৃত্ব এসেছে। অনেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আরেকটি প্রোগ্রামে যাওয়ায় উপস্থিত হতে পারেনি।

বৈঠকে অংশ না নেওয়া প্রসঙ্গে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, তারা ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, ছাত্র সংগঠনগুলোর কাউকে রাখেননি। আমরা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে দীর্ঘদিন ছিলাম, সব ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আমাদের মিলেমিশে চলতে হয়। ভবিষ্যতে আলোচনায় যাবেন কিনা– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা আলোচনায় যাব, তারাও আমাদের ডাকে আসবে। পারস্পরিক বোঝাপড়া তো থাকতে হবে।

ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, আমরা মনে করেছি, সবার মাঝে ঐক্য টিকিয়ে রাখতে পরিপক্ব আচরণ তারা করেননি।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, সভায় না যাওয়া আমাদের একটি প্রতিক্রিয়া। আমাদের ওভারলুক করে ওনারা নিজেরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে চলে গেছেন।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি নূরুল বশর আজিজী বলেন, তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রোগ্রামে ছাত্র সংগঠনগুলোকে ডাকেননি। বিপ্লবের অংশীদারদের মাইনাস করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সালমান সিদ্দিকী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গঠনের সময় বলা হয়েছিল– সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন সব ছাত্র সংগঠনকে বাদ দিয়ে তারা এককভাবে অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!