পাসপোর্ট ইস্যুতে ফেঁসে যেতে পারেন ক্রিকেটার নাসির হোসেনের স্ত্রী তামিমা তাম্মি। তামিমার দাবি অনুযায়ী, ২০১৭ সালেই প্রথম স্বামী রাকিব হাসানকে তালাক দেন। কিন্তু পুলিশ বলছে, ২০১৮ সালে তার পাসপোর্ট আবেদনে দেখা যাচ্ছে তার স্বামী রাকিবের নাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাকিবকে তালাক দেওয়ার দিন-তারিখের সঙ্গে তামিমার ব্যক্তিগত তথ্যের গরমিল পেয়েছে পুলিশ। ডিভোর্সের এক বছর পরও স্বামীর নাম রাকিব হাসান লিখেছেন তামিমা। ডিভোর্সের পরও তামিমা কেন স্বামী হিসাবে রাকিবের নাম লিখেছেন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। এ জন্য শিগগির তামিমাকে পুলিশের জেরার মুখোমুখি হতে হবে।
গত মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে তামিমাকে বিয়ে করেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাসির হোসেন। নতুন সংসার শুরু করতে না করতেই নাসিরের বিয়ে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হাসান দাবি করেন, তালাক না দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেছেন তামিমা। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন তামিমা ও নাসির।
এরপর সংবাদ সম্মেলন করে তামিমা তার প্রথম স্বামীকে তালাক প্রসঙ্গে বক্তব্য দেন। কিন্তু তার সেই বক্তব্যের সঙ্গে পাসপোর্টের তথ্য কোনোভাবেই মিলছে না। ফলে এখানে তালাকের বিষয়টি নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। দুটি তথ্য সঠিক হওয়ার সুযোগ নেই।
পাসপোর্টে দেওয়া তথ্য সঠিক হলে তালাক সংক্রান্ত তথ্য অসত্য। আবার যদি তালাক দেওয়াকে সঠিক ধরে নেওয়া হয়, তাহলে পাসপোর্টে অসত্য তথ্য দেওয়ার কারণে তার পাসপোর্ট বাতিলসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগও থেকে যাচ্ছে। সূত্রমতে, পুলিশ এভাবেই তদন্তের গতিপ্রবাহ নির্ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে।
পাসপোর্টে স্বামী হিসাবে রাকিবের নাম উল্লেখ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাসির-তামিমার আইনজীবী ব্যারিস্টার আসিফ বিন আনোয়ার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তামিমার পাসপোর্টে তথ্যের যে গরমিলের কথা বলা হচ্ছে তা এখনো আমি দেখিনি। এটা দেখার পর মন্তব্য করতে পারব। একইসঙ্গে আদালতকেও জানাতেও পারব।’
খুলনা গেজেট/ টি আই