অভয়নগরে ফুলতলা বাজার বণিক কল্যাণ সোসাইটির ক্রীড়া সম্পাদক খন্দকার রকিবুল ইসলাম খুনের ঘটনায় পাঁচ রাউন্ড তাজা গুলি ও পিস্তলের খালি ম্যাগজিন উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২২ মে) সকালে উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের দত্তগাতী গ্রামের একটি বাগান থেকে গুলি ও খালি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে দুই ইউপি সদস্যসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত গুলির মধ্যে তিন রাউন্ড ১২ বোর তাজা কার্তুজ (শটগানের গুলি), দুই রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি ও পিস্তলের একটি খালি ম্যাগজিন রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের দত্তগাতী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল আলম, একই ইউনিয়নের দামুখালী গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য মিলন হাওলাদার, একই গ্রামের সুব্রত মন্ডল, তুহিন হাওলাদার, পিয়ুজ মন্ডল ও খুলনার ফুলতলা উপজেলার জামিরা গ্রামের মেহেদী হাসান সবুজ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল জানান, গ্রেপ্তারকৃত সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল আলম ওরফে আলম মেম্বারের স্বীকারোক্তি মোতাবেক যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় মেহেদী হাসান সবুজ নামে এক যুবককে রবিবার ভোররাতে ফুলতলার জামিরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেহেদী হাসান সবুজ জামিরা গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে। তাঁর স্বীকারোক্তি ও দেখোনো স্থান অভয়নগরের দত্তগাতী গ্রামের আজিজ মোল্যার বাগানের ঝোপঝাড়ের মধ্য থেকে এদিন সকালে তিন রাউন্ড ১২ বোর কার্তুজ (শটগানের গুলি), দুই রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও পিস্তলের একটি খালি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু না জানিয়ে তিনি হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১২ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খন্দকার রকিবুল ইসলাম ও তার স্ত্রী বর্ষা বেগম ফুলতলা থেকে মোটরসাইকেলে করে অভয়নগরের দত্তগাতী গ্রামে সাবেক মেম্বার সাইফুল আলম ওরফে আলম মেম্বারের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। দাওয়াত খাওয়া শেষে রাতে ফুলতলায় ফেরার পথে দত্তগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে পৌঁছালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন খন্দকার রকিবুল ইসলাম। এসময় রকিবুলের স্ত্রীও আহত হন।
হত্যাকান্ডের পরদিন শুক্রবার নিহত রকিবুলের মা রহিমা বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে অভয়নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরদিন শনিবার অভয়নগর থানা পুলিশ উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের দত্তগাতী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল আলম ওরফে আলম মেম্বার ও একই ইউনিয়নের দামুখালী গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য মিলন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর দামুখালী গ্রামের সুব্রত মন্ডল, তুহিন হাওলাদার ও পিয়ুজ মন্ডলকে খুলনা পিটিআই মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই