খুলনা যশোর মহাসড়ক সংলগ্ন ফুলতলা বাসষ্টান্ডের পশ্চিমপার্শ্বে নিউ মার্কেট এর সাইনবোর্ড লাগিয়ে সরকারি জমি দখল দিয়ে শুরু হয়েছে মার্কেট তৈরির বিশাল কর্মযজ্ঞ। অপর একটি সাইনবোর্ডে জমির মালিক নিগার সুলতানা, মাতা মরহুমা ফরিদা বেগম এবং জমির পরিমার ২৬ শতাংশ দেখানো হয়।
তবে নিজস্ব জমির পাশাপাশি ’ক’ তফশিলভুক্ত খাস জমি এবং সামনের সড়ক ও জনপদের অন্তত ৪০ ফুট জায়গা দখল দিয়ে চলছে নির্মান কাজ। ইতোমধ্যে সরকারি জমি থেকে কর্তন করা হয়েছে একটি ছায়াবান কদমগাছ ।
ফুলতলা বাজারের ১৮নং দামোদর মৌজার খুলনার মিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃতঃ আমিরুল ইসলামের স্ত্রী নিগার সুলতানা তার মাতা দামোদরের বাসিন্দা মরহুমা ফরিদা বেগম এর নিকট থেকে পাওয়া জমিতে সম্প্রতি মার্কেট নির্মানের কাজ শুরু করেন। কাজের সার্বিক দেকভাল করছেন তার পুত্র ববি (৪২)।
খুলনা যশোর মহাসড়ক সংলগ্ন (ফুলতলা বাসষ্টান্ডের পশ্চিমপার্শ্বে ) সড়ক ও জনপদের অন্তত ৪০ ফুট জায়গা দখল করে নির্মান কাজ করা হচ্ছে। ঐ জমিতেই থাকা পথচারীর ছায়াদানকারী কদমগাছটি দখলদারেরা কেটে নেয়। এছাড়া দামোদর মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের ২৩/১০৭৬ নং দাগের ৬ শতাংশ সরকারি খাস জমি দখলে নিয়ে মার্কেট নির্মাণ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সরকারি জমি দখলের বিষয়টি জানতে চাইলে মুঠোফোনে নিগার সুলতানা ও তার পুত্র ববি বলেন, সড়ক ও জনপদের জমি যার জমির সামনে থাকে সেই সেটা ভোগদখল করে সেই ধারাবাহিকতায় আমরাও করেছি। আমাদের জমিতে নির্মাণ কাজের অসুবিধা হওয়ায় কদমগাছটি কেটে ফেলা হয়েছে।
সরকারের ’ক’ তফশিলভূক্ত খাস জমি দখলের বিষয়টিও স্বীকার করে নিগার সুলতানার পুত্র ববি বলেন, আমাদের জমিতে খাস জমি থাকতে পারে, সরকারের প্রয়োজনে সেটা ছেড়ে দেয়া হবে।
অপরদিকে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বলেন, সরকারি খাস জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। কোন ব্যক্তি এ ধরনের কাজ করলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন বলেন, শুধু সরকারের খাস জমি নয়, আশপাশের আরো কয়েকজনের জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। খুব শীঘ্রই সরকারি জমি উদ্ধার এবং মালিকানা জমির বিরোধ নিষ্পত্তি করা হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই