খুলনা, বাংলাদেশ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  আগামীকাল ১২৭ পুলিশ কর্মকর্তার সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
  মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুম-খুনের ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করতে হবে : তারেক রহমান

ফুলতলার আলোচিত এখলাস হত্যা মামলায় দু’জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামের আলোচিত এখলাস হত্যা মামলায় দু’ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাদের দু’জনের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম দেওয়া হয়েছে। এ মামলার অপর ৪ আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

রোববার খুলনার অতিরিক্ত দায়রা ও জজ আদালত -৩ এর বিচারক আবীর পারভেজ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মাহবুবুর রহমান।

সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, ফুলতলা উপজেলার দামোদর পশ্চিমপাড়া এলাকার আরিফ চৌধুরীর ছেলে আজিজুল চৌধুরী এবং একই এলাকার সরদারপাড়ার আক্তার সরদারের ছেলে রুবেল সরদার।

খালাস প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আলাউদ্দিন চৌধুরী, মো: হারুন অর রশিদ ওরফে মো: হারুন খা, জহিরুল খা, আশরাফুল আলম ওরফে কচি সরদার।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দামোদর গ্রামের জনৈক আলাউদ্দিন চৌধুরীর সাথে নিহত এখলাসের ব্যবসায়িক দ্বন্ধ ছিল। এ ঘটনা নিয়ে প্রায় এখলাসকে হুমকি ধামকি দিত। এমন কি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আলাউদ্দিন তাকে হত্যার ভয়ভীতি দিত। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে এখলাস ও এলাকার চায়ের দোকানী জহির কাজীকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ফুলতলা বাজার হতে বাড়ি দামোদরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত ১ টার দিকে বাড়ির সামনে পৌছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামি আজিজুল চৌধুরী, মো: হারুন খা, রুবেলসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৭ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে এখলাসের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময়ে ভিকটিম মোটরসাইকেল রেখে দৌড় দিয়ে স্ত্রীকে ডাকাডাকি করতে থাকে এবং তাকে বাচানোর জন্য আকুতি জানাতে থাকে। তার চিৎকার শুনে ঘর থেকে স্ত্রী, পুত্রসহ বাড়ির অন্যান্যরা এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত এখলাসকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় এখলাসের ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩ জন আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করেন, যার নং ৪। ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক মো: শাহাবুদ্দিন চৌধুরী ৭ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!