দলীয় ঐক্যকে সুসংহত করার লক্ষ্যে, দলীয় ঐক্যকে ধরে রাখার স্বার্থে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমনটাই জানালেন খান জাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন।
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন শেখ আবিদ হোসেন। এছাড়া মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অনেক আগে থেকেই তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় খানজাহান আলী থানার শিরোমনি বাজারস্থ তার নিজস্ব কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শেখ আবিদ হোসেন বলেন, আমি আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আমি স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী এবং আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবেই নিজেকে সর্বদা দাবি করি। আমি বিশ্বাস করি ব্যক্তির স্বার্থের থেকে দলের স্বার্থটা বড়। আপনারা জানেন গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাবু নারায়ণ চন্দ্র চন্দের নৌকা প্রতীকের পক্ষে সকল নৌকার বিরুদ্ধেচারণদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী লাভ করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ফুলতলা উপজেলা নির্বাচনে সেই একই চক্র যারা নৌকার বিরোধিতা করেছিলো, যারা চায়নি আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসুক, নৌকা প্রতীক ফুলতলা ডুমুরিয়ায় বিজয় লাভ করুক। সেই চক্রটি আবার এই নির্বাচনে সক্রিয় হয়েছে।
এই চক্রকে প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই। এই নির্বাচন যদিও নির্দলীয় ভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তারপরও ফুলতলা উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা পরস্পরের মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দিতা করছে। আমি মনে করি, যে বোঝে দায়িত্ব তার, এই উপলব্ধি বোধের জায়গা থেকে দলীয় ঐক্যকে সুসংহত করার লক্ষ্যে, দলীয় ঐক্যকে ধরে রাখার স্বার্থে আমি এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ফুলতলা উপজেলার সকল স্তরের নেতাকর্মী ভাইবোনেরা আমাকে নিঃস্বার্থ অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও সমর্থন জানিয়েছেন। এজন্য আমি সবার কাছে চির কৃতজ্ঞ। আগামী দিনে আপনাদের সকল সুখ দুঃখের সাথী হয়ে আপনাদের পাশে থাকবো ইনশাল্লাহ। আমি চাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকুক।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবের তিনি বলেন, আমি মানুষকে ভালবাসি মানুষের কাছে যাওয়ার জন্য একাকটা সময় একাকটা সুযোগ লাগে। মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য একটা কর্মসূচি লাগে। এ নির্বাচনটাকে আমি সেই কর্মসূচি মনে করে নির্বাচন করার আগ্রহ পোষণ করেছিলাম।
খুলনা গেজেট/এনএম