ইউরোপিয়ান ফুটবল মাঠে গড়িয়েছে বেশ আগে। করোনার প্রার্দুভাব কিছুটা কমার পর মাঠে নেমেছিলেন মেসি, রোনালদোরা। মাঠে ফিরেছে বিভিন্ন দেশের আরো কিছু লিগও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো টুর্নামেন্টও মাঠে গড়িয়েছে। চলছে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের খেলাও। কিন্তু কোথাও নেই দর্শকদের উন্মাদনা। সান্তিয়াগো বার্নাব্যু, ক্যাম্প ন্যু কিংবা ওল্ড ট্রাফোর্ড, দর্শকদের অভাবে খা খা করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সেই অপেক্ষা ফুরিয়েছে।
দর্শক মাঠে নিয়ে ফুটবলে ফিরেছে বাংলাদেশ। মাঠে নামলো জামাল ভূঁইয়া, সাদ উদ্দিন, তপু বর্মণরা। লাল সবুজের প্রতিনিধিত্বকারীরাই শুধু মাঠে ফিরেনি, দর্শকও ফিরেছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ ও নেপালের আন্তর্জাতিক ম্যাচ দিয়ে খুলল ফুটবলের দুয়ার।
মহামারি করোনার কারণে গত ১১ মার্চের পর ফুটবল ম্যাচ হয়নি বঙ্গবন্ধুতে। করোনা ঝুঁকি এখনও রয়েছে। তবুও ফুটবলের টানে মাঠে ফিরেছে ফুটবলপ্রেমিরা। বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় বাংলাদেশ ও নেপালের ম্যাচ। কিন্তু দুপুরের পর থেকেই গুলিস্তানের আশেপাশে মানুষের ভিড়। মূল স্টেডিয়ামের চারটি প্রবেশদ্বার ছিল বন্ধ। ভিআইপি ছাড়া গেট খোলা একেবারেই নিষেধ। কিন্তু ভেতরে মানুষে ভরপুর। ছোটখাটো জটলা লেগেছিল প্রায় প্রতিটি গেটের সামনেই। যেখানে সামাজিক দূরত্বের ছিটেফোঁটাও ছিল না। গায়ে গা লাগিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে মাঠে প্রবেশ করেছেন দর্শকরা।
করোনায় স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে দর্শক মাঠে ঢুকিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বলা হয়েছিল আট হাজার দর্শক মাঠে ঢুকতে পারবেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুতে দর্শকের উপস্থিতি ছিল প্রায় দশ হাজার। সেটা কিভাবে? এ নিয়ে একাধিক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেউই কথা বলতে রাজি হননি।
বরাবরের মতো এদিনও কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করত দেখা গেছে। ১০০ টাকার টিকিট ম্যাচের শুরুতে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় এবং ১০০০ টাকার টিকিট ১২০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। ম্যাচ যতটা মাঠে গড়িয়েছে টিকিটের দামও ততটা কমেছে। মাঠে ফুটবল ফেরায় হাসি ফুটেছে তাদের মুখেও। মাঠের উন্মাদনা নিয়ে ফিরেছে দেশের ফুটবল। দশ মাস পর জামাল ভূঁইয়রা আবারও সবুজ ঘাসে। শেষটায় বুরুন্ডির বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে।
খুলনা গেজেট/এএমআর