সেপ্টেম্বরে ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম শুরু করছে বাফুফে। ফুটবলারদের এমনই আশ্বাস দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। মাঠে খেলা না থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ফুটবলাররা। তাদের দীর্ঘ দিনের দাবির মুখে অবশেষে মিলেছে আশ্বাস। ফুটবল মাঠে গড়ানোর খবরে খুশি ফুটবলাররা। এতে খেলার সুযোগ পাওয়ার পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিও পুষিয়ে নেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তারা। বাফুফে ভবনে সভাপতির সঙ্গে ফুটবলাররা। আশা সভাপতির কাছ থেকে লিগ শুরু নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ। এর আগেও বেশ কয়েকবার বাফুফে ভবনে এসেছিলেন রানা, তপু বর্মনরা। কিন্তু কোন খবর ছাড়াই ফিরতে হয়েছে ঘরে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে লিগ শেষ না করেই বন্ধ হয়ে যায় খেলা। এতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ঘরোয়া লিগে খেলা ফুটবলাররা। অনেক ক্লাবই ফুটবলারদের পরিশোধ করেনি প্রাপ্য অর্থ। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ফিটনেস ধরে রাখা নিয়েও শঙ্কায় আছেন ফুটবলাররা।
জাতীয় দলের গোলরক্ষক আশরাফুল বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা ঠিকভাবে পাারিশ্রমিক পাইনি। খেলা না থাকায় ক্লাবগুলো লোকসানের মুখে রয়েছে। এর প্রভাব আমাদের ওপর পড়েছে। আর্থিকভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি আমরা। এ জন্যই সভাপতির সঙ্গে দেখা করেছি।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ সামনে রেখে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে শুরু হচ্ছে জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প। এরপরই সেপ্টেম্বরে লিগ শুরু নিয়ে ফুটবলারদের আশ্বাস দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। ফুটবল মাঠে গড়ালে আর্থিক ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেয়া যাবে। এমন খবরে খুশি ফুটবলাররা।
জাতীয় দলের ডিফেন্ডার তপু বর্মন বলেন, সভাপতি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন সেপ্টেম্বরে ঘরোয়া ফুটবল মাঠে গড়ানোর জন্য চেষ্টা করা হবে। আর যদি তা হয়, তাহলে আমরা আর্থিক ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবো।
জাতীয় দলের মত লিগেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হলে বড় কোন বিপদ হবেনা বলেও মনে করেন ফুটবলাররা।
খুলনা গেজেট/এএমআর