ফুচকা খেতে ভালবাসেন না এমন মানুষ কমই আছে। স্ট্রিটফুড হিসেবে ফুচকা খুবই জনপ্রিয় । ছোট থেকে বড় সবারই পছন্দ ফুচকা। শুধু স্বাদ নয়, ফুচকা যে গুণেও অনন্য তা হয়তো অনেকেই জানেন না। ফুচকায় রয়েছে অনেক গুণ। এটি খেলে গ্যাসের সমস্যা কমে। সেই সঙ্গে আরও কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন-
তেঁতুল : ফুচকার পানিতে ব্যবহার করা হয় তেঁতুল পানি। এই তেঁতুল পানিতে ধনেপাতা, বিট লবণ, কাঁচা মরিচ সবই থাকে। এই পানি খেলে হজম শক্তি বাড়বে কারণ তেঁতুলে শরীরে জন্য খুব ভালো। তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই তেঁতুল খেলে শরীরে খাবার খুব দ্রুত হজম হবে।
পুদিনা পাতা/ ধনে পাতা : ফুচকায় পুদিনা পাতা কেউ বা ধনেপাতা ব্যবহার করেন। দুই ধরনের পাতাই অন্ত্রের সমস্যা দূর করে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
কাঁচা মরিচ: ফুচকায় ব্যবহার করা হয় কাঁচা মরিচ। এটি শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় তা নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি রয়েছে। এটি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শুধু তাই নয়, যাদের অ্যানিমিয়া রয়েছে বা রক্তাল্পতা ভুগছেন তারা প্রতিদিন কাঁচা মরিচ খেতে পারেন।
বিট লবণ: ফুচকা ব্যবহার করা হয় বিট লবণ। এটি শুধু খাবারে স্বাদ বাড়ায় না, এতে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেন্টারি যৌগ পেট ফোলা বা পেট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। পেট সংক্রান্ত যেকোনোও রোগ কমাতে পারে।
আলু ও ডিম : ফুচকা তৈরিতে আলু চটকে ব্যবহার করা যায়। উপর দিয়ে ছড়িয়ে দেয়া হয় ডিমের কুচি। দুটিই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
কী ভাবে খাবেন?
কোনও জিনিসই বেশি খাওয়া ভালো নয়, তাই ফুচকাও বেশি খাবেন না। মেপে খান। বাইরে বানানো ফুচকা নিয়ে সমস্যা থাকলে, ঘরেই এইসব উপকরণ দিয়ে ঘরেই তৈরি করে ফেলুন ফুচকা আর টক পানি। উপকার পাবেন।
খুলনা গেজেট/এনএম