রাজধানীর গুলশান থানার গুলশান-বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। অন্য এক পুলিশ সদস্যের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক সূত্রগুলো জানালেও পুলিশের পক্ষ থেকে তা নিশ্চিত করা হয়নি।
শনিবার(৮ জুন) দিবাগত রাত আনুমানিক পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুলশান বিভাগ পুলিশ জানিয়েছে এ তথ্য।
গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি) রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘গুলশান কূটনৈতিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে পুলিশ সদস্য। আমরা খবর পাওয়া মাত্র ঊর্ধ্বতনরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। কিন্তু সেখানে ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটিসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, কে বা কারা এজন্য দায়ী তা এখন পর্যন্ত মূল্যায়ন করার সুযোগ হয়নি। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।
ঘটনাস্থলে সরজমিনে গিয়ে নিহত পুলিশ সদস্যের নিথর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। গুলশান-বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনের সামনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম রয়েছে। তাদের সঙ্গে মোতায়েন রয়েছেন ঘটনাস্থলে সোয়াট সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।
গুলি করা এবং গুলির শিকার হয়ে নিহত হওয়া দুই পুলিশ সদস্যের নামও জানা গেছে। এরা হলেন কনস্টেবল মনির এবং কনস্টেবল কাউসার। তবে আহত সাইকেল আরোহীর নাম জানা যায়নি।
সূত্রের বরাতে জানা গেছে ঘটনার কিছু ক্ষণ আগে কথা কাটাকাটি চলছিল কনস্টেবল মনির ও কনস্টেবল কাউসারের মধ্যে। সেই কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নিজের সঙ্গে থাকা পিস্তল বের করে কাউসারকে গুলি করেন মনির।
পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘৮ তারিখ রাত ১১টা ৪৫মিনিটে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে উত্তর পাশের গার্ডরুমে কনস্টেবল মনিরুল নিহত হয়েছে। এছাড়া কাউসার আহমেদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক সাজ্জাদ হোসেনের দেহে তিনটি গুলি লেগেছে।’
খুলনা গেজেট/এমএম