খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আগুন নিয়ন্ত্রণে, খুলনায় পাট গোডাউনসহ ১০ দোকানের কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই

ফজরের নামাজ পড়ে নিজে চা বানিয়ে খান প্রধানমন্ত্রী

গেজেট ডেস্ক

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়েন। তারপর নিজের চা নিজে বানিয়ে খান বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত সময়ে সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল ইমাম তাঁর প্রশ্নে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে সব প্রশ্নই সম্পূরক প্রশ্ন। আমি একটি ডায়ালগ বলতে চাই, আপনি চাকরি করেন, আপনার মাইনে দেয় এ গরিব কৃষক, আপনার মাইনে দেয় এ গরিব শ্রমিক, আপনার সংসার চলে এ টাকায়। আমি গাড়ি চলি ওই টাকায়, ওদের সম্মান করে কথা বলেন, ওদের ইজ্জত করে কথা বলেন। আমরা সবাই জানি, এ কথাটা কার। আমার প্রশ্ন হলো, এখনো এই সরকার এ কথাগুলোর ওপর ভরসা করে কি না? আরেকটি হলো ঘুম থেকে ওঠার পর আমরা অনেক কিছু দেখি বা অনেক কিছুই জানি। ঘুম থেকে ওঠার পর শিশুরা মা খোঁজে, যুবকেরা বউ খোঁজে, আমি মোবাইল খুঁজি, আর তা দেখে আমার মা ঝাড়ু ঝাড়ে, ঝাড়ু খোঁজে। আমার প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী ঘুম থেকে উঠে কী খুঁজেন?’

এর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সকালে ঘুম ভাঙার পর আগে জায়নামাজ খুঁজি। নামাজ পড়ি। তারপর কোরআন তিলাওয়াত করি। তারপর সকালের নিজের চা-টা নিজে বানিয়ে খাই। আমার ছোট বোন রেহানা আছে। যে আগে উঠে, সে চা বানায়। এখন আমার মেয়ে পুতুলও রয়েছে। সেও যদি ঘুম থেকে আগে ওঠে, তাহলে সেও চা বানায়। তার আগে নিজের বিছানাটা গুছিয়ে রাখি নিজের হাতে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন তো করোনাকালে নামাজ পড়ে, চা খেয়ে বই-টই পড়ার থাকলে পড়ি। আর একটু হাঁটাহাঁটি করি। গণভবনে একটা লেক আছে। সেই লেকের পাশে বসে মাছ ধরি।’

‘আমাদের বাবার শিক্ষা রিকশাওয়ালাকে আপনি করে বলতে হবে। ড্রাইভারকে সাহেব বলতে হবে। বাড়ির কাজের লোকজনকে হুকুম দেওয়া যাবে না। আমরা সেই শিক্ষাই অর্জন করেছি। আমার বাসায় যারা কাজ করে, তাদের কখনো হুকুম দিই না। বলি, আমাকে এটা করে দিতে পারবে? সেই শিক্ষাই জাতির পিতা আমাদের দিয়েছেন।’ বলছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

খুলনা গেজেট / এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!