বাগেরহাটের ফকিরহাটে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় আন্তজেলা ডাকাতদলের পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার পিলজঙ্গ ইউনিয়নের কাটাখালী মোড়ের পার্শ্ববর্তী একটি বালুর মাঠ থেকে ফকিরহাট থানা পুলিশ এদের আটক করে। এসময়, তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়অস্ত্রসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। আদালতের সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।
শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আটককৃতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার পাতিলাখালী গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে জালাল শেখ (৫৭), একই গ্রামের আঃ কামাল শেখের ছেলে কাদের শেখ (২৮), যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার মৃত মোতালেবের ছেলে কামরু ল।সিলাম (৪০), কোতায়ালী থানার হামিদপুর গ্রামের মোকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ইকতিয়ার বিশ্বাস (৪২) এবং নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কুন্দসী গ্রামের ধলা গাজীর ছেলে জাকির গাজী। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির সাথে যুক্ত বলে স্বীকার করেছেন। ২৫ জুন রাজশাহীর একটি কোল্ডস্টোরে ডাকাতির ঘটনায় রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছীতে রাজ আলু কোল্ড স্টোরেজের সিন্দুক ভেঙ্গে ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৭২ টাকা ডাকাতির ঘটনায় তারা জড়িত বলেও জানিয়ছে।
জব্দ ডাকাতির সরঞ্জামাদির মধ্যে দেশীয় তৈরি পিস্তল, আগ্নেয়াস্ত্রে ব্যবহৃত পুরাতন গুলি, লোহার রড, লোহার চাপাতী, হাতুড়ী, রেঞ্জ, চাকু, প্লাস, হ্যাক্সো ব্লেডের হাতল, গ্যাসের বার্নার, স্ক্রু ড্রাইভার, কাটার, ড্রিল মেশিনে ব্যবহৃত লোহার দন্ড রয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি জেলার কোথাও একটি সসস্ত্র দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতদের আটক করতে মোল্লাহাট ও ফকিরহাট থানা পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল কাজ শুরু করে। গভীররাতে পাঁচ ডাকাতকে আটক করা হয়। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির সাথে যুক্ত বলে স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আটক ডাকাতরা শুধু বাগেরহাট নয়, রাজশাহী, রংপুর ও কুড়িগ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের প্রধান লক্ষ ছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বড় দোকান ও ধন্যাঢ্য বাড়ি। তাদের সাথে আধুনিক সিন্দুক ও তালা কাটার জন্য গ্যাস সিলিন্ডারও থাকে। এই দলটিতে অন্তত ১০জন সদস্য রয়েছে। কখনও এক সাথে, আবার কখনও দুটি টিমে ভাগ হয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তারা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে সোপর্দ করা হবে। আরও তথ্যের জন্য আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতের কাছে ডাকাতদের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল