ফকিরহাট উপজেলার কাঠালতলা এলাকায় চুরি করতে এসে নারী সহ ৪ জনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছে চোর। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই চোরকে আটক করে পুলিশ। আহত ৪জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের কাঠালতলা গ্রামে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে মৃত আকবর আলীর স্ত্রী রওশনারা বেগমের বাড়ীর টয়লেটের ফাঁকা অংশ থেকে চোর ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে ধরতে গেলে সে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে গুরুত্বর আহত হয়েছে রওশনারা বেগমের কন্যা সুমি আক্তার (৩৫), সুমির স্বামী আতিকুর রহমান (৪৫), পাশের বাড়ীর ভাড়াটিয়া ইজিবাইক চালক মামুন খান (৪৫) ও অপর ভাড়াটিয়া দিনমুজুর মো. শাহাজাহান (৬০)।
আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে সুমি আক্তার আশংকাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। ওই চোরকে চিনতে পারায় তাদের ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালে এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে ওই বাড়িতে চুরির অভিযোগে আট্টাকী এলাকার একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া ভাংগাড়ি ব্যবসায়ি মাহবুব সেখ (৩০) কে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত মাহবুব পিরোজপুর এলাকার মৃত সুরোত আলীর ছেলে।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলীমুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে পরিবারের সদস্যরা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় ঘর থেকে কোন জিনিসপত্র ও মালামাল চুরি গেছে কিনা তা জানাতে পারেনি।
খুলনা গেজেট/ বি এম এস