ফকিরহাট উপজেলার বেতাগার বিঘাই এলাকার মৎস্যঘের থেকে ভাসমান অর্ধগলিত অবস্থায় কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার বিকেল ৩ টার দিকে ওই এলাকার জনৈক প্রতীপ অধিকারীর মৎস ঘের থেকে কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত কলেজ ছাত্র উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের আতুল অধিকারীর ছেলে অনিক অধিকারী। তিনি গত একসপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তবে পরিবারের দাবি তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। অপরদিকে মোল্লাহাট গড়ফা গ্রাম থেকে সুজন শিকদার নামে অপর এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পরিবারের সদস্যরা। মৃত ওই শিক্ষার্থী মিঠু শিকদারের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরের দিকে স্থানীয়রা ওই মৎস্যঘেরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘের থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করা হয়। এসময় অনিকের পরিবার ও স্থানীয়রা মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
অনিক অধিকারী টাউন-নওয়াপাড়া শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শেণির ছাত্র।
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম শামীম, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মু.আলীমুজ্জামান(ওসি) ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু.আলীমুজ্জামান। তিনি বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে। অনিক অধিকারী ২২ জানুয়ারি (রোববার) বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন।
এদিকে রবিবার সকালে গাড়ফা গ্রামে নিজ রুম থেকে সুজন শিকদারের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। সে মোল্লাহাট সরকারী ওয়াজেদ মেমোরিয়াল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল ।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী এস এম আশরাফুল আলম বলেন, মোল্লাহাট থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে ।
খুলনা গেজেট/ এসজেড