ফকিরহাটের টাউন নওয়াপাড়া এলাকায় এক ব্যবসায়ী গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সমিতি থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তির টাকা যোগাড় করতে না পেরে গনেশ দে(৬৫) নামের ওই ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। নিহত গনেশ দে টাউন নওয়াপাড়ার কালিপদ দের ছেলে।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টার পর কোনএক সময় বাড়ির পাশের একটি গাছে গলায় রশি দিয়ে ঝুঁলে থাকে। মঙ্গলবার(১৪ এপ্রিল) সকালে লোকজন গাছে ঝোলা নিথর দেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মু. আলিমুজ্জামান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামালা দায়ের হয়েছে।
নিহতের বড় ছেলে উজ্বল দে বলেন, করোনার সময়ে আমরা সকলে বেকার হয়ে পড়েছিলাম। সংসার চালাতে বাবা আমাদের না জানিয়ে কয়েকটি সমিতি ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ছিলেন। ভ্যানে করে গ্রাম থেকে কাগজ, নারকেলের পাতার সলাসহ বিভিন্ন জিনিস কিনে বিক্রি করে প্রতি সপ্তাহে ৫-৮ হাজার টাকার কিস্তি চালাতেন। মঙ্গলবার আশা সমিতিতে ১৬শ টাকার কিস্তি ছিলো। শারিরিক অসুস্থ্যতার জন্য কয়েকদিন কাজে যেতে না পারায় কিস্তির টাকা যোগাড় করতে পারেনি। হতাশা নিয়ে রাতে খাবার না খেয়ে শুয়ে পড়েন।
ছোট ছেলে উৎপল দে বলেন, রাত ৩টার পর কোন এক সময় আমাদের অজান্তে বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। সকালে ঘুমু ভাঙ্গে প্রতিবেশিদের ডাক চিৎকারে। গিয়ে দেখি বাবার নিথর দেহ। করোনা কালিন ও পরবর্তী সময় যেন আমাদের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। ঋণের বোঝা কেড়ে নিয়েছে বাবাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনজিও (সমিতির) কর্মীরা বলেন, অসচ্ছলতার জন্য দরিদ্র মানুষ ঋণ নেয়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা কাজ করি। আমরা তাকে কখনোই কিস্তি দেওয়ার বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করিনি। এমন অনাকাঙ্খিত মৃত্যু সত্যিই আমাদের কাছে কষ্টের বিষয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই